
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০১ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
সিনিয়র-জুনিয়র গ্যাংয়ের দ্বন্দ্ব, জানতে গিয়ে দোষ কাঁধে আরেকজনের ওপর। অবশেষে সমাধানের কথা বলে রাতুল নামের এক শিক্ষার্থীতে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে জখম করে রাজধানী মান্ডার হিরা গ্যাং। সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে মারা যান ওই শিক্ষার্থী। দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন নিহতের বাবা।
পাড়া-মহল্লা আর অলিগলিতে বিষফোঁড়ার মতো গড়ে উঠেছে ছোট বড় কিশোর গ্যাং। রাজধানীতে যা অগণিত নানাবেশে। এসব গ্যাংয়ের হাতে হরহামেশাই হতাহতের শিকার হচ্ছে নিজেরাই, বাদ যাচ্ছে না সাধারণ মানুষও।
সোমবার সন্ধ্যায় সিনিয়র-জুনিয়রের পূর্ব ঘটনার জের ধরে রাজধানীর মুগদা মান্ডা প্রথম গলিতে দুই গ্রুপের মারামারিতে রাকিবুল ইসলাম রাতুল নামের এক কলেজছাত্রের মাথায় কুপিয়ে জখম করে হিরা গ্যাংয়ের সদস্যরা।
মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে প্রথমে মুগদা হাসপাতাল নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। রাত ১২টা নাগাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। রাতুলের বন্ধুরা জানায়, সমাধানের কথা বলে ডেকেছিল হিরা বাহিনী।
রাতুলের বন্ধু বলেন, বিচার করার আগের ওদের মেইন লিডার হিরা আমাদের ডাকাইছে যে, ‘তোরা কই আছোস, তোরা আয় মিটমাট করাই দিমু।’ রাতুল কলেজে পড়াশুনা করার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করত।
এদিকে তিন ছেলের মেজো ছেলে রাতুলের মৃত্যু মানতে পারছেন না বাবা। দাবি, বিচার হোক দোষীদের।
রাতুলের বাবা আতিকুর রহমান বলেন, আমরা খারাপ না, আমরা খেটে খাই। আমার ছেলেকে ওরা মেরে ফেলল। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
পুলিশ বলছে, মামলা সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, এই ছেলে দুইদিন আগে যেখানে ঝগড়া হয়েছিল সেখানে গিয়েছিল। পরে তাকে আজকে একা পেয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। ময়নাতদন্তের পর পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
নিহত রাতুল মাদারটেক আব্দুল আজিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ১ম বর্ষের ছাত্র ছিল। পরিবারের সঙ্গে খিলগাঁও ত্রিমহোনী মাদবর বাড়ি রোডে ভাড়া থাকত সে।
Posted ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০১ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin