নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০১ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ যুব ক্রিকেটের পাকিস্তান সফরে ১৫ সদস্যের দলে জায়গা পেয়েছেন যশোরের উদীয়মান ক্রিকেটার শাহারিয়ার সাকিব। সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাতে পাকিস্তানের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছে দলটি।
সাকিব শহরের কাজীপাড়া কাঁঠালতলা এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন ও সানজিদা বেগমের ছেলে। সাকিবের বাবা রুহুল আমিন শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। আর মা সানজিদা বেগম গৃহিণী। ২০১৩ সালে চাচা রাতুল ইসলামের হাত ধরে ক্রিকেটে যাত্রা শুরু সাকিবের।
এর আগে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের প্রাথমিক দলে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। বাছাই পেরিয়ে পরের ধাপেও সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু চূড়ান্ত দলে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। অবশেষে এবার সাকিব চূড়ান্ত দলে সুযোগ পেয়েছেন।
সাকিব জানান, এটি বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট সর্বশেষ পর্যায়। এখানে ভালো করলে সুযোগ মিলতে পারে হাই পারফরম্যান্স বা বাংলা টাইগার্সে। সে লক্ষ্যেই নিজেকে প্রস্তুত করছেন। ধাপে ধাপে এগোতে চান জাতীয় দলের পথে।
তিনি বলেন, নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে পরের ধাপে জায়গা নিশ্চিত করতে চাই। ব্যাটিং, বোলিং সব বিভাগেই নিজেকে আরও উন্নতি করার লক্ষ্যেই অনুশীলন করছি। এখন মাঠে ভালো খেলার চেষ্টা থাকবে।
দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার উত্তেজনা না লুকিয়ে তিনি বলেন, দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছি, এটা অন্যরকম ভালো লাগার, গর্বের ব্যাপার। আমার প্রথম বিদেশ সফর, রোমাঞ্চিত অবশ্যই। এর আগে দেশে খেলেছি, প্রতিপক্ষ অনেকটা সমমানের ছিল। তবে এবার যেহেতু বিদেশের মাটিতে, প্রতিপক্ষ কঠিনও হতে পারে। ওখানে খেলাটা আমার জন্য একটা বড় অর্জন, অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে। চেষ্টা করব ভালো খেলতে, নিজের সেরাটা দিতে।
সাকিব সম্প্রতি শেষ হওয়া শেখ কামাল ইয়ুথ ক্রিকেট লিগে (ওয়াইসিএল) দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন। টানা দুই সেঞ্চুরিতে ওয়াইসিএলের ওয়ানডে ভার্সনে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের তালিকায় সবার ওপরে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করা এই ক্রিকেটার। ৫ ইনিংসে ৬৯ গড়ে ও ৬৭.৯৮ স্ট্রাইকরেটে ২৭৬ রান করেন। ওয়ানডেতে লেগ স্পিনে দুটি উইকেটও নেন অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা সাকিব।
সর্বশেষ ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগেও উদয়াচলের হয়ে দুর্দান্ত ব্যাট করেন সাকিব। ১১ ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরিতে ৪০.১৪ গড়ে এবং ৬৮.০৪ স্ট্রাইকরেটে ৩৬৪ রান করেন। এর মধ্যে ১১৬ রানের দুর্দান্ত একটা ইনিংস ছিল।
যশোর ক্রিকেট কোচিং সেন্টার ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জেলা কোচ আজিমুল হক বলেন, যশোরের অনেক ক্রিকেটারই এই পর্যায়ে গেছে। তবে এদের মধ্যে দুই একজন ছাড়া অধিকাংশই হারিয়ে গেছে। তাই সাকিবকে এদের থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গে সাকিব যদি কঠোর পরিশ্রম ধরে রাখে আর খেলার মাঠ ও মাঠের বাইরে দুই জায়গায় ডিসিপ্লিন থাকে তবে তুষার ইমরান-সৈয়দ রাসেলের স্থান পূরণ করতে পারবে।
এদিকে ১৫ বছর পর পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে পাকিস্তান গেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। যে সিরিজ দিয়ে ২০২৪ বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করবে যুব টাইগাররা। গত আসরের ব্যর্থতা ঘোচাতে, এবার নতুন পরিকল্পনায় এগোচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। বাড়ছে ম্যাচের সংখ্যা। নির্বাচক ও কোচ বলছেন, পাকিস্তান সিরিজ শেষে ধারণা পাওয়া যাবে স্কোয়াডের গভীরতা সম্পর্কে।
Posted ৭:০৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০১ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin