
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৫ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আর এক মিটার বাড়লেই দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল থেকে প্রায় তিন কোটি মানুষ পরিবেশগত উদ্বাস্তু হবে। এতে জনসংখ্যার একটি বড় অংশের কর্মক্ষেত্র, জীবিকা ও স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে।
আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ওশি ফাউন্ডেশন ও ফ্রেডরিক এবার্ট স্টিফটাং (এফইএস) বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওশির নির্বাহী পরিচালক আমিনুর রশিদ চৌধুরী তাঁর উপস্থাপিত ধারণাপত্রে এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় জাস্ট ট্রানজিশন উদ্যোগ গ্রহণ : ক্ষয়ক্ষতি প্রশমন ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতে করণীয়’ বিষয়ক একটি ধারণাপত্র উপস্থাপন করা হয়।
ধারণাপত্রে বলা হয়, ২০১১ থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে ৯৬ লাখ অভিবাসী তৈরি হবে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জবাবদিহিসংক্রান্ত দপ্তরের (ইউএস গভর্নমেন্টস অ্যাকাউন্টেবিলিটি অফিস) একটি প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগামী এক দশকে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ১৫ শতাংশ বাড়তে পারে। সমুদ্রের পানির উচ্চতা আর এক মিটার বাড়লে দেশের মোট ভূখণ্ডের ১৭.৫ শতাংশ তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় এই প্রতিবেদনে। এতে বাসস্থান, জীবিকা ও খাদ্য নিরাপত্তার ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।
ধারণাপত্রে আমিনুর রশিদ চৌধুরী আরো উল্লেখ করেন, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা কার্যক্রমের একটি প্রধান অগ্রাধিকার ক্ষেত্র হিসেবে জাস্ট ট্রানজিশনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাস্ট ট্রানজিশন হলো জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক জনগোষ্ঠীর প্রতি ন্যায্য আচরণ। এখানে নতুন কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা উন্নয়নে অনেক বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ন্যায্য রূপান্তরের জন্য সামাজিক সংলাপ, দক্ষতা উন্নয়ন নীতি, পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা এবং সামাজিক সুরক্ষা উদ্যোগ গ্রহণ ও নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
Posted ৩:০১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৫ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin