
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৫ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
ক্যালিফোর্নিয়ার এএফআই ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ারের পর গতকাল অ্যাপল টিভিতে অবমুক্ত করা হয়েছে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সেলেনা গোমেজের জীবনী নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারি ‘সেলেনা:মাই মাইন্ড অ্যান্ড মি’। এতে উঠে এসেছে সেলেনার সংগীত ও ব্যক্তিজীবনের নানা জানা-অজানা তথ্য। এমনকি তার কঠিন সময়ে আত্মহত্যা করতে গিয়ে ফিরে আসা দিনগুলোর কথাও জানতে পেরেছেন ভক্তরা।
এন্টারটেইনমেন্ট উইকলি প্রকাশ করেছে, সেলেনা বছরের পর বছর আত্মহত্যার মতো বিষয়টির সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। সেলেনা বলেন, ‘একটা সময় ভেবেছিলাম আমি না থাকলে পৃথিবী আরো ভালো হবে।’
পরবর্তীতে বিষণ্ণতা, উদ্বেগ ও মানসিক অবসাদ কাটাতে ৪টি চিকিৎসা কেন্দ্রের সাহায্য নেন এই গায়িকা। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, যখন আমার বয়স ২০ বছর তখন মনে হতো জীবনটা অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তখন মনে হতো আত্মহত্যা একমাত্র সমাধান। আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলাম না। ভালো খারাপের তফাৎ করতেও ব্যর্থ হচ্ছিলাম। সব মিলিয়ে দিনদিন মানসিক অবসাদ ঘিরে ধরছিল। মনে হয়েছিল বিষণ্ণতার আবরণে ঢাকা এ জীবন শিগগিরই শেষ করে দিতে হবে।
গোমেজ গণমাধ্যমে শেয়ার করেছেন, পরবর্তীতে তার মাধায় শুভ বুদ্ধির উদয় হয় এবং ২০১৮ সালে বেশ কয়েক মাস একটি মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নেন। এ সময় সাইকোসিস এবং বাইপোলার রোগ নির্ণয় করতে তাকে প্রচুর ওষুধ সেবন করতে হয়।
সেলেনা বলেন, আমি যে ওষুধগুলো খেয়েছিলাম সেগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। আমি কী বলছি বা কোথায় আছি সেটা ভুলে যেতাম। এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল। তখন শিখেছি কঠিন মুহূর্ত কীভাবে মোকাবেলা করতে হয়।
নিজের এমন দিন পার করার পর থেকেই স্বাস্থ্য সম্পর্কে বেশ সচেতন হয়েছেন সেলেনা গোমেজ। এমনকি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন সময় মানুষকে সচেতন করতেও কাজ করেন তিনি।
Posted ৪:২৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৫ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin