
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০৭ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
নওগাঁর পাইকারি বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। ফলে প্রকারভেদে দর কমেছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। সবজির কমতি দরে ক্রেতারা খুশি হলেও চাষিদের অভিযোগ, চড়া দামে কৃষি উপকরণ কেনার কারণে উৎপাদন খরচ উঠেছে না।
ভোরে ফুলকপি, পাতাকপির পসরা সাজানো ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখর নওগাঁর পাইকারি বাজার।
শীতের সব ধরনের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে ফুলকপি, শিম, পাতাকপি, ঢেঁড়স, বেগুন, কাঁচামরিচ ও পেঁপের দাম কমেছে। দর কমায় ক্রেতারা খুশি হলেও চাষিরা দুশ্চিন্তায়। তাদের অভিযোগ, ফসল উৎপাদনে সার কীটনাশকসহ নানা কৃষি উপকরণ চড়া দামে কেনায় সবজি উৎপাদনে খরচ বেশি হয়েছে। তবে আড়তে তোলার পর সে সবজির ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না।
এ বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ২০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০ টাকা, মুলা ১২ টাকা, আলু ২৫ টাকা এবং করলা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এক সবজি বিক্রেতা বলেন, সারসহ সব ধরনের কৃষি উপকরণের দাম বেশি। সে অনুযায়ী বাজারে সবজির দাম কম। এতে আমাদের পোষাচ্ছে না। আজ প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এদিকে আগে যে বেগুন এক হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করতাম, তা এখন ৫০০ টাকায় নেমেছে।
খুচরা বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ায় দামে কমে গেছে। একে খুশি ক্রেতারা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, সবজির সরবরাহ বাড়ায়, দাম কমেছে। এতে ক্রেতাদের স্বস্তি মিলেছে।
এদিকে চাষি ও ভোক্তার স্বার্থরক্ষায় টেকসই কৃষিব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি করেন জেলা বাসদ আহ্বায়ক মো. জয়নাল আবেদিন মুকুল। তিনি বলেন, যদি সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার থাকত, তাহলে এতে এই মৌসুমি সবজিগুলো আমরা পরবর্তীতে বাজারে ছাড়তে পারতাম। এতে কৃষকরাও দাম পেত, পাশাপাশি ভোক্তারাও কম দামে সবজি পেত।
উল্লেখ্য, জেলায় চলতি মৌসুমে ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজির আবাদ হয়েছে আর সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ মেট্রিক টন।
Posted ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৭ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin