
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৮ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
গত মৌসুমের চেয়ে এবার কেজিপ্রতি চাল দুই টাকা আর ধান এক টাকা দর বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে এবার চালের দর প্রকারভেদে ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছে ১২ থেকে ১৬ টাকা। সরকার দর বেঁধে দিলেও ব্যবসায়ীরা ধানের দর ঠিক করছেন নিজেদের ইচ্ছেমতো।
তবে বর্তমানে সব ধরনের চালের দামই বাড়ানো হয়েছে। স্বল্পআয়ের মানুষের ভরসা মোটা চালের দামও বেশি। আবার প্রতি মৌসুমে প্রচুর ধান উৎপাদন হলেও কৃষকের কপাল খোলে না। স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনধারণ কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সবার প্রশ্ন, ধান-চালের এই উচ্চদামের বাড়তি মুনাফা যাচ্ছে কোথায়?
চাষিদের অভিযোগ, একদিকে কম দামে ধান কিনছেন অন্যদিকে অস্বাভাবিকভাবে চালের দাম বাড়িয়ে মুনাফা লুটছে ব্যবসায়ীরা।
গত নভেম্বরের শুরুতে নওগাঁর মোকামে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৪৩ থেকে ৪৫ টাকায়। আর সরু চিকন ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। কিন্তু বছর ঘুরে সেই চালের দাম ঠেকেছে মোটা ৫৫ টাকা আর চিকন ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। সরকার এবার ৪২ টাকা কেজিতে চাল আর ধান ২৮ টাকা কেজিতে কেনার ঘোষণা দিয়েছে।
তারপরও ব্যবসায়ীরা ধান কিনছেন কম দামেই। চাষিদের অভিযোগ, ধানের দর না বাড়লেও চালের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ানোর মুনাফার পুরোটাই যাচ্ছে মিল মালিকদের পকেটে।
নওগাঁর মহাদেবপুর এলাকার কৃষকরা বলেন, হাটে ধান তোলার পর ব্যবসায়ীরা যে দাম বেঁধে দেন সেই দরেই বিক্রি করতে হয়। এখানে চাষিদের কোনো কিছুই করার থাকে না।
নওগাঁ জেলা বাসদের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন মুকুল বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ধান চাল সংগ্রহে সরকারের বেঁধে দেয়া দরের সুফল কৃষকরা পাচ্ছেন না। এর অন্যতম কারণ হিসেবে তিনি মনে করেন, সরকার ধান ও চালের দর বেঁধে দেয় শুধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষায়। এখানে চাষিদের কোনো সুফল নেই।
মহাদেবপুর উপজেলা মিল মালিক সমিতির সাবেক সহসভাপতি মো. ওসমান আলী বলেন, ধান ও চালে অধিক মুনাফা করার যে অভিযোগ করা হয় তা সঠিক নয়। উন্মুক্ত বাজারে ব্যবসায়ীরা খেয়াল-খুশিমতো দাম বেঁধে দিতে পারেন না।
Posted ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৮ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin