নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৮ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
মহাসড়কের ধারঘেঁষে বসে ভ্রাম্যমাণ বাহারি ফলের দোকান। মাটির উপরে পলিথিন বিছিয়ে সাজিয়ে রাখা আছে রং-বেরঙের সুস্বাদু ফল। এসব ফলের দোকান বসে শুধু হাটবারে। বিভিন্ন জেলায় ফল বিক্রি করেই সংসার চলে এসব ফল বিক্রেতার।
উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর গরুর হাট বসে রানীগঞ্জ বাজারে। এটি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় অবস্থিত। প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার এখানে হাট বসে। এই হাটবারে রাস্তার ধারে ভ্রাম্যমাণ ফলের দোকান নিয়ে বসেন কয়েকজন ফল বিক্রেতা। তারা সবাই পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলার বাসিন্দা।
এসব ফল বিক্রেতা জানান, প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ফলের পসরা নিয়ে বসেন তারা। হাটবার অনুযায়ী বসে তাদের দোকান। লক্ষ্য হাটে আসা লোকজনের কাছে ফল বিক্রি করা। এভাবেই ফল বিক্রি করে সংসার চলছে তাদের।
সোমবার হাট বসেছিল রানীগঞ্জ বাজারে। সরেজমিন দেখা যায়, দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ধার ঘেঁষে ৭টি ফলের দোকান বসেছে। মাটির ওপর পলিথিন বিছিয়ে সাজানো আছে ড্রাগন, মাল্টা, আপেল, কমলা, পেয়ারা, আনারসহ হরেক রকমের ফল। এদিকে হাটে আসা ক্রেতারা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের এসব ফল কিনতে ভিড় জমিয়েছেন। সপ্তাহে দুদিন এই ভ্রাম্যমাণ ফলের দোকান বসে।
হাটে ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪০০ টাকা কেজি দরে। মাল্টা ৮০ টাকা, আপেল ১৬০ টাকা, কমলা জাতভেদে ৮০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। এ ছাড়াও পেয়ারা ৫০ টাকা এবং আনার ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
দেশি জাতের এসব কমলা সংগ্রহ করা হয় রাজশাহী জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। আর ড্রাগন ফল সংগ্রহ করা হয় বিভিন্ন জেলা থেকে।
হাটে বাজার করতে এসেছেন ৬৭ বছর বয়সী রহিম মোল্লা। তাকে দেখা যায় ফলের দোকানে। রহিম মোল্লা জানান, তিনি তার নাতির জন্য ড্রাগন ফল কিনতে এসেছেন।
ক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার মা অসুস্থ, তাই আনার কিনতে এসেছি।’
বিক্রেতা ইসাহাক মিয়া বলেন, ‘এক যুগ থেকে হারা এল্লা ফলের দোকান করে সংসার চালাওছি। একেকদিন একেক জেলাত যাই। হাটের দিন করে হামরা দোকান দেই। ফল বেচে হামার প্রতিদিন আয় এক হাজার থেকে ১৫০০ টেকা। হামরা নিজেরাই পাইকারি মাল কিনি। তাই ক্রেতাহেরে কাছে ৫ থেকে ১০ টাকা কম দামে ফল বেচবার পাই।’
Posted ৩:৫৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৮ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin