
নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
মিয়ানমারের সাগাইন রাজ্যে তাণ্ডব চালিয়েছে জান্তা সেনারা। রাজ্যটির একটি গ্রামে হামলা চালিয়ে ১৮ জনকে হত্যার পাশাপাশি পুড়িয়ে দিয়েছে অন্তত দেড় শতাধিক বাড়িঘর। পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে। অন্যদিকে সশস্ত্র সংগঠনটির সঙ্গে সংঘর্ষে দুদিনে অন্তত ২০ জান্তা সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পিডিএফ। খবর ইরাবতির।
মিয়ানমারে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর জান্তা বাহিনীর দমন-পীড়ন বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় ইইউ উদ্বেগ জানানোর পর নতুন করে সামনে এল সেনাদের ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর আরও একটি অভিযোগ।
পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানায়, গত বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) থেকে বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে অভিযান শুরু করেছে জান্তা বাহিনী। এরই মধ্যে সাগাইন রাজ্যের পায়ার গ্রামে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে হত্যা করে সেনারা। সেই সঙ্গে স্থানীয়দের ওপর চালায় ব্যাপক নির্যাতন। একপর্যায়ে জ্বালিয়ে দেয় গ্রামের দেড় শতাধিক বাড়িঘর। এ ঘটনার পর গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
তবে বিভিন্ন রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতিরোধের মুখেও পড়তে হচ্ছে জান্তা বাহিনীকে। ইরাবতি জানিয়েছে, পিডিএফসহ অন্য গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংঘর্ষে গত দুদিনে সাগাইন ও রাখাইন রাজ্যে ২০ জনের বেশি জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সু চি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে জান্তা বাহিনী। এরপর থেকে সু চির মুক্তির দাবিসহ সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে বিভিন্ন সময় সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হয়েছেন অনেকে। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ২০টির মতো বিদ্রোহী গোষ্ঠী সক্রিয়।
এদিকে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের কয়েক মাস পরই গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির অনুগতরা এনইউজি নামে ছায়া সরকার প্রতিষ্ঠা করে। একই সঙ্গে দেশজুড়ে যে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে ওঠে তার অংশ হিসেবে নিজস্ব সেনাবাহিনী পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) নামে একটি সশস্ত্র বাহিনীও প্রতিষ্ঠা করে।
Posted ৩:৩৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin