নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
যশোরের মণিরামপুরে আবারো শুরু হয়েছে তুলার চাষ। দীর্ঘদিন পর চলতি মৌসুমে তুলার আবাদ শুরু করেছেন কৃষক। অনাবাদি ও পতিত জমিতে তুলার চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। এদিকে প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের অর্থকরী ফসল তুলা চাষে কৃষকদের আগ্রহী করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তুলা উন্নয়ন অফিস।
চালুয়াহাটি ইউপির হায়াতপুর গ্রামের কৃষক নজরুল মোড়ল বলেন, অনেক দিন পর দেড় বিঘা জমিতে তুলার চাষ করেছি। আবাদকৃত জমিতে এ বছর তুলার ভালো ফলন হবে। প্রতি বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের তুলা চাষে গড়ে খরচ হয় ১২-১৫ হাজার টাকা। প্রায় লাখ টাকার তুলা বিক্রি করতে পাবর।
রাজগঞ্জ আঞ্চলিক তুলা উন্নয়ন অফিসের উপ-পরিচালক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, তুলা চাষে রাজগঞ্জ-নেংগুড়াহাট অঞ্চলের কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণ, পরামর্শ, মাঠ দিবস, উঠান বৈঠক, নতুন জাতের বীজ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ফলে এক সময় যেসব এলাকায় চাষিরা তুলা চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন, তারা নতুন করে তুলা চাষ শুরু করেছেন।
ইব্রাহিম হোসেন আরও বলেন, তুলা বীজ থেকে উৎপাদিত ভোজ্য তেল অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এবং কোলেস্টেরল তুলনামূলক কম। তুলার চাষ বাড়লে বাজারে তেলের সরবরাহও বাড়বে। এছাড়া তুলা বীজের খৈল অধিক প্রোটিন সমৃদ্ধ। এ খৈল গরু মোটা তাজাকরণ, পোল্ট্রি এবং মাছ চাষের উত্তম খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে রাজগঞ্জ-নেংগুড়াহাট অঞ্চলে প্রায় ২০ একর জমিতে এবার তুলা চাষ হয়েছে। এরমধ্যে হাইব্রিড হোয়াইট গোল্ড-১, রুপালি-১, সিবি হাইব্রিড-১, ডিএম-৪ এবং দেশীয় উচ্চ ফলনশীল সিবি-১৪ ও সিবি-১৫ জাতের তুলার চাষ বেশি হয়েছে। এসব জাতের তুলা প্রতি বিঘায় ১৬ থেকে ১৮ মণ করে উৎপাদন হবে। মানভেদে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা দরে প্রতিমণ তুলা বিক্রি হতে পারে। এতে লাভবান হবেন কৃষকরা।
Posted ৩:৩৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin