
নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে ১৯৯২ সালে। সেবার নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল তারা। সময়ের ধারায় অতীত ফিরে আসে বলে একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে। তিন দশক পর সেটাই যেন ফিরিয়ে আনলেন বাবর আজমরা।
অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপের অষ্টম আসরের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে পাকিস্তান। অন্য ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে ইংল্যান্ড। তাতে ৩০ বছর আগের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। ফিরে এলো ‘৯২ বিশ্বকাপের ফাইনাল।
আরো অনেক দিক দিয়েই ১৯৯২ সালের আসরের সঙ্গে মিলে যায় এবারের আসর। যদিও ফরম্যাটটা ভিন্ন। কিন্তু ইতিহাসের দিকে তাকালে একই দৃশ্যপটের ছাপ পাওয়া যায়। সেবার ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান ছিল অনেকটা টালমাটাল। তবে ধুঁকতে থাকা দলটি অবিশ্বাস্যভাবে সেমিতে জায়গা করে নেয়।
তারপরের ইতিহাস অনেকেরই জানা। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে চার উইকেটের ব্যবধানে পরাজিত করে তারা। ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিল ইংল্যান্ডকে। শেষে বিশ্বকাপটাই নিজেদের করে নেয় ইমরান খানের দল। এবারও একই প্রতিপক্ষ, একই মঞ্চ, কেবল ফরম্যাটটা ভিন্ন। অপেক্ষা কেবল পুনঃমঞ্চায়ন!
সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতে ঘুরতে বহু বহু বছরে একবার একই সমান্তরালে আসে সবগুলো গ্রহ। পাকিস্তানের সামনেও ত্রিশ বছর পর এসেছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের বড় ব্যবধানের জয়ে ইতিহাসের চূড়ান্ত পুনরাবৃত্তি ঘটানোর সেই মাহেন্দ্রক্ষণই যেন কড়া নাড়ছে দলটির সামনে।
আরো অনেক দিক দিয়েই বিরানব্বই বিশ্বকাপ ফিরে এসেছে জীবন্ত হয়ে। সেই বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি)। এবারের বিশ্বকাপের ফাইনালও হচ্ছে সেই একই স্টেডিয়ামে তথা মেলবোর্নে। যা অনুষ্ঠিত হবে আগামী রোববার (১৩ নভেম্বর)।
আরেকটা ব্যাপার হলো, দুটি আসরই পাকিস্তান শুরু করে হার দিয়ে। বিরানব্বইয়ে প্রথম চার ম্যাচে মোটে একটি ম্যাচ জিতেছিল পাকিস্তান। এবারও প্রথম দুই ম্যাচেই পাকিস্তান ছিল পরাজিতের ঘরে। সেবার নকআউটে উঠতে তাদের অপেক্ষা ছিল অন্যদের ফলাফলের ওপর। এবারও তাই। তাতে নেদারল্যান্ডস রূপকথাতেই কপাল খুলে যায় পাকিস্তানের।
সেবার ম্যাচের পরতে পরতে উত্তেজনা আর থ্রিল ছড়িয়ে দিয়েছিল দুই দল। এবারও কি আরেকবার সেই মহারণের স্বাক্ষী হবে ক্রিকেট বিশ্ব? বাবর-রিজওয়ানরা কি পারবেন পূর্বসূরীদের পথ ধরে ইতিহাসের পাতা ওল্টে নতুন ইতিহাস লেখতে? নাকি গ্রাহাম গুচদের হারের বদলা নিয়ে অজিভূম মাতাবেন জশ বাটলাররা?
উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ১৩ নভেম্বর অবধি…
Posted ৫:২৯ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin