
নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনের বিক্ষোভ ও অস্থিতিশীলতার প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে ইরান। খবর আল-জাজিরা।
ইসলামি প্রজাতন্ত্রে নারীর কঠোর পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর ১৬ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানজুড়ে রাস্তায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
ইরান অস্থিরতার পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবসহ তার শত্রুদের দায়ী করেছে। ওই সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীসহ কয়েক ডজন নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই বিক্ষোভকারী।
ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রী ইসমাইল খতিব বুধবার (৯ নভেম্বর) বলেন, ‘আমি সৌদি আরবকে বলতে চাই যে আমরা প্রতিবেশী হওয়ায় আমাদের ও এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের ভাগ্য একে অপরের সঙ্গে যুক্ত।’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ওয়েবসাইটের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ইরানের জন্য এই অঞ্চলের দেশগুলোতে যেকোনো অস্থিতিশীলতা সংক্রামক এবং ইরানের যেকোনো অস্থিতিশীলতা এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য সংক্রামক হতে পারে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান এখন পর্যন্ত কৌশলগত ধৈর্য অবলম্বন করেছে, তবে এটি গ্যারান্টি দিতে পারে না, তারা এই কৌশলগত ধৈর্য বেশি দিন বজায় রাখবে।’
এদিকে হিজাব ইস্যুতে পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর সাত সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও বিক্ষোভে উত্তাল ইরান। সাম্প্রতিক সময়ে তেহরানের এত বড় আন্দোলন দেখেনি বিশ্ব। বিদেশি চাপের পাশাপাশি চলমান আন্দোলন ক্রমেই রূপ নিচ্ছে সরকারবিরোধী আন্দোলনে। আর বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের উসকে দেয়ার অভিযোগ করে আসছে ইরান।
Posted ৩:৩৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin