
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
কেবল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেলপ্রাপ্তি (১৯১৩), অস্ট্রিয়ার প্রজাতন্ত্র ঘোষণা (১৯১৮), মরক্কো-সুদান-তিউনিশিয়ার জাতিসংঘের সদস্যপ্রাপ্তি (১৯৫৬) বা পৃথিবীর প্রাচীনতম দুই হাজার ৬০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী রাজতন্ত্রের সিংহাসনে জাপানের সম্রাট আকিহিতোর অভিষেক (১৯৯০)-এর জন্য নয়, বাংলাদেশে এক কলঙ্কমোচনের ঘটনায় বিশ্ব ইতিহাসে উদ্ভাসিত দিন ১২ নভেম্বর। রাজনৈতিক বা কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার করা যাবে না—এমন কলঙ্ক থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে ১৯৯৬ সালের এই দিনটিতে। যা দেশের ক্যালেন্ডারেই নয়, আন্তর্জাতিক দিনপঞ্জিতেও স্বস্তিময় একটি তারিখ। বাঙালি জাতির কাছে একটি অনন্য স্বস্তি ও অনুভূতির দিন।
হত্যার বিচার রহিত রাখার পাপের বোঝা বাঙালি ও বাংলাদেশকে এখন আর বহন করতে হচ্ছে না। হত্যার বিচার না হওয়ার ঘটনা রয়েছে বহু দেশেই। কিন্তু আইন করে হত্যার বিচার নিষিদ্ধের কালো নজির বাংলাদেশ ছাড়া দুনিয়ার কোথাও নেই। তা-ও আবার যিনি দেশটি স্বাধীন করেছেন তাঁকেই সপরিবারে হত্যার বিচার না করার আইন! পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিনই রাষ্ট্রপতি হয়ে যান তাঁরই বিশ্বস্ত সহচর খন্দকার মোশতাক আহমদ। ১৫ই আগস্টের সরাসরি খুনি সেনাবাহিনীর বিপথগামী সদস্যরা একে একে দেশত্যাগে বড় দাগে স্বস্তি আসে তাঁর। হত্যাকাণ্ডের এক মাস ১০ দিনের মাথায় ২৬ সেপ্টেম্বর জারি হয় এই হত্যার বিচার করা যাবে না মর্মে কলঙ্কিত-বর্বর অধ্যাদেশটি। ‘ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স’ নামে অধ্যাদেশটিকে সংসদে আইনে রূপ দেওয়া হয় ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই।
Posted ১:৫৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin