
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নতুন পাঠ্যক্রমে শুরু হতে যাচ্ছে প্রথম শ্রেণির পাঠদান। অথচ এ ব্যাপারে শিক্ষকদের এখনো কোনো প্রশিক্ষণ নেই। নতুন পাঠ্য বইয়ের ভুলত্রুটিও পরিমার্জন করা হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান নিয়ে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, নতুন কারিকুলামে পাঠদান নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, দেশে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ৩২ লাখ।
নতুন কারিকুলামে দেশে আগামী বছর থেকে প্রথম শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রণয়ন করা হয়েছে নতুন পাঠ্য বই। শিক্ষার্থীদের নতুন এই কারিকুলামে পাঠদানে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাঠ্য বইয়ের ভুলত্রুটি পরিমার্জন-পর্যবেক্ষণের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর কোনোটিই এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
মো. ইব্রাহীম নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘পাঠ্য বইয়ের ভুল নিয়ে প্রতিবছর ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবার তৈরি করা হচ্ছে নতুন কারিকুলামের বই। পর্যবেক্ষণ ছাড়া এসব বই ছাপা হলে ভুল থাকবেই। পাশাপাশি নতুন কারিকুলামের পাঠ্য বই পড়ানোর উপযোগী কি না, সেটি যাচাই না করে ছাপানো হবে ঝুঁকিপূর্ণ। ’
অন্য এক অভিভাবক তানজিলা আক্তার বলেন, ‘আগামী বছর আমার ছোট মেয়ে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হবে। আগে শিক্ষকদের পাশাপাশি বাসায় বাচ্চাদের আমরাও পড়াতাম। এখন নতুন কারিকুলামের বই বাচ্চাকে কিভাবে পড়াব, বুঝতে পারছি না। একইভাবে প্রশিক্ষণ না নিয়ে শিক্ষকরাই বা কিভাবে ক্লাসে পাঠদান করবেন, বুঝতে পারছি না। ’
এনসিটিবির শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন কারিকুলামের জন্য দেড় হাজার প্রশিক্ষক তৈরি করা হবে। এনসিটিবি থেকে কোর ট্রেইনার ও মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করা ছাড়াও প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল বা গাইড বই তৈরির কাজ চলমান।
Posted ২:০১ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin