বুধবার ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় আগাম শিমের বাম্পার ফলন-দামে খুশি চাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট

চুয়াডাঙ্গায় আগাম শিমের বাম্পার ফলন-দামে খুশি চাষিরা

চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলায় আগাম জাতের ঈশা-১, বারি-৩/৪ এবং বাও-৪ শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এগুলো ‘অটো শিম’ বলেও পরিচিত। আগাম জাতের এসব শিমের দাম ভালো পাওয়ায় চাষিরা খুশি।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলার চার উপজেলায় ৩০৬ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের শিমের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৪৯ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২৩ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় ১৫৫ হেক্টর এবং জীবননগর উপজেলায় ৭৯ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন মাঠে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার চাষিরা মাচা পদ্ধতিতে আগাম উন্নত জাতের শিম চাষ করেছেন। মাচা পদ্ধতিতে শিম চাষ করে চাষিরা যেমন ভালো ফলন পাচ্ছেন তেমনি ভালো দামও পাচ্ছেন। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এ শিম সরবরাহ করা হচ্ছে।

সদর উপজেলার দোস্ত ও দিকেষ্টপুর গ্রামের মাঠে প্রতি বছরই ৫০০ থেকে ৬০০ বিঘা জমিতে অটো জাতের শিমের আবাদ হয়ে থাকে। গত তিন বছর যাবৎ অটো জাতের শিমের আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছেন চাষিরা। বিঘা প্রতি খরচ বাদ দিয়ে লাখ টাকার উপরে লাভ পেয়েছেন। এই দুই গ্রামের প্রায় সব চাষি দুই থেকে তিন বিঘা জমিতে শিমের আবাদ করে থাকেন।

এসব এলাকার চাষিরা জানান, শিম আবাদের জন্য তারা ভাদ্র মাস থেকে জমি প্রস্তুতের কাজ শুরু করেন। এর পর বাঁশের কাবারি ও তার দিয়ে তৈরি করা হয় সারিবদ্ধ মাচা। সেচ দিয়ে বপন করা হয় বীজ। বপনের ৪৫ থেকে ৫০ দিন পরেই শিম ধরা শুরু হয়। প্রথম ধাপে শিম কম উঠলেও পর্যায়ক্রমে সপ্তাহে বিঘা প্রতি ৭০ থেকে ১০০ মণ পর্যন্ত শিম তোলা যায়। শিম বিক্রিতে বাড়তি কোনো ঝামেলা নেই। পাইকারি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে নগদ অর্থে শিম কিনে থাকেন। এ বছর ৫০ টাকা কেজি দরে শিম করছেন চাষিরা।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দোস্ত গ্রামের তরুণ চাষি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে অটো জাতের শিম চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত এক লাখ ৮০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছেন। আরো ৫০ হাজার টাকার শিম বিক্রি হবে বলে আশা করছেন।

সদর উপজেলার দিকেষ্টপুর গ্রামের চাষি মিজানুর রহমান বলেন, এ বছর তিনি আড়াই বিঘা জমিতে একই জাতের শিম আবাদ করেছেন। তিনি শিমের ভালো দাম পেয়ে খুশি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় ঈশা-১, বারি-৩/৪ এবং বাও-৪ আগাম জাতের শিম চাষ হয়েছে। আমরা কৃষকদের শিমের ভালো ফলন পেতে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে আসছি। তাদেরকে পোকা নিয়ন্ত্রণে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:২২ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]