
নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
চিকিৎসকরা বলেন, কোলেস্টেরল হচ্ছে মোম জাতীয় একটি পদার্থ। যা কোষের মেমব্রন তৈরিতে অনেক সময় কাজে লাগে। দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রে শরীরে এটা স্বাভাবিক মাত্রার তুলনায় বেশি থাকে। তখন রক্তনালীতে জমতে পারে এই উপাদান। বিশেষত, খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ে চিন্তা।
সমস্যা হচ্ছে, কোলেস্টেরল বাড়ার লক্ষণ শরীরে দেখা যায়। তবে মানুষ তা দেখেও অবহেলা শুরু করে দেন। এর থেকেই মূল জটিলতা তৈরি হয়। এবার মাথায় রাখতে হবে যে এই অসুখ প্রথমে ধরা পড়লেই অনেক সমস্যা রোধ করা যায়। তাই সতর্ক হওয়া দরকার।
এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই পরিস্থিতিতে শরীরে অনেক জটিলতা দেখা যায়। সচেতন হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। কারণ কোলেস্টেরল শরীরে বাড়লে কিছু রোগ ধরা পড়ে। যেমন:
>> হার্টের অসুখ হয় দেখা দেয়। এই অঙ্গটিতে আপনার জমতে পারে কোলেস্টেরল। সেক্ষেত্রে শরীরে সমস্যা তৈরি হয়। হতে পারে হার্ট অ্যাটাক । আসলে হার্টের রক্তনালীতে কোলেস্টেরল জমলে সেখানে রক্ত চলাচলে বাধা তৈরি হয়। এই কারণে হয় হার্ট অ্যাটাক। এক্ষেত্রে বুকে চাপ লাগা, বুকে ব্যথা, সাধারণ কাজ করতে গেলেও হাঁফিয়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। তাই এই উপসর্গ দেখা দেওয়া মাত্রই চিকিৎসকের কাছে আসুন।
>> স্ট্রোক হতে পারে। মস্তিষ্কে কোনো কারণে কোলেস্টেরল জমলে এই অসুখ হয়। এক্ষেত্রে বড় রক্তনালীতে জমতে পারে কোলেস্টেরল। আবার ছোট নালীতেও জমে। এবার বড় নালীতে জমলে হতে পারে প্যারালিসিস। আর ছোট নালীতে জমলে ছোটখাট কাজ না করতে পারা, যেমন জামার বোতাম লাগানো ইত্যাদি করা হ যায় না। এছাড়া ভুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
>>পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ হতে পারে। অনেক সময় পায়ের আর্টারিতে জমে কোলেস্টেরল। সেই পরিস্থিতিতে পায়ে ব্যথা হয়। একটু হাঁটলেই ব্যথাটা বাড়ে। পায়ের পিছনের দিকে ব্যথা হয়। কাফ মাসলে কষ্ট হতে থাকে। এই অসুখের নাম PAD. এক্ষেত্রে সতর্ক হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
>> ডায়াবিটিস, বিপি ইত্যাদি বেড়ে যায়। কোলেস্টেরলের সঙ্গে ডায়াবিটিস (Diabetes), হাই বিপি (High BP) ইত্যাদি রোগের একটা যোগসূত্র রয়েছে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, যাদের কোলেস্টেরল বেশি রয়েছে, তাদের শরীরে বাড়তে থাকতে সুগার, প্রেশার। তাই কোলেস্টেরল ধরা পড়লে এই দুটি টেস্ট অবশ্যই করতে হবে।
>> কোলেস্টেরল থাকলে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করান। তবেই ভালো থাকতে পারবেন। অন্যথায় সমস্যা বাড়বে। অনেক ক্ষেত্রে কোলেস্টেরল চোখের পাতার উপর বা নিচে জমে। জায়গাটায় ছোট ছোট দাগ হয়। একটু উঁচু হয়ে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে সাদা, আবার কিছু ক্ষেত্রে রং থাকে হলুদ। এই পরিস্থিতিতে সতর্ক হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। তবেই সমস্যার সমাধান আপনি করে ফেলতে পারবেন। অবশ্য এটা কোনো ক্ষতিকর দিকে এগয় না। কিন্তু কিছু মানুষের এটা দেখতে খারাপ লাগে।
সূত্র: এই সময়
Posted ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin