নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে সঙ্গে নিয়ে আফতাব আমিন পুনাওয়ালা ভারতের মুম্বাই থেকে দিল্লিতে এসেছিলেন ৮ মে। অর্থাৎ শ্রদ্ধাকে খুন করার ঠিক ১০ দিন আগে। আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত চক্রান্ত এবং খুন করার জন্যই দিল্লি আসা হয়েছে বলে মনে হলেও কিছু হিসাব এখনো মেলাতে পারছেন না তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, দিল্লিতে কলসেন্টারের নতুন চাকরি নিয়ে এসেছিলেন আফতাব। শ্রদ্ধাও নতুন শহরে এসে চাকরির খোঁজ শুরু করেছিলেন। প্রশ্ন উঠেছে, পূর্বপরিকল্পনা করে খুন করাই যদি লক্ষ্য হয়, তবে দিল্লিতে নতুন চাকরি নিয়ে আসা এবং সেই চাকরিই করে যাওয়ার কী দরকার ছিল? আফতাব তো যেকোনো অজুহাতেই খুন করে দিল্লি থেকে পালিয়ে যেতে পারতেন! পাঁচ মাস ধরে অপরাধের জায়গায়ই কেন রয়ে গেলেন তিনি?
এ ছাড়া তদন্তে উঠে আসা আরো একটি তথ্য নিয়ে খটকা লাগছে পুলিশের। পুলিশ জানতে পেরেছে, দিল্লিতে আসার কিছুদিন আগে শ্রদ্ধাকে নিয়ে আফতাবের সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ঝগড়া হয়। দুজনের সম্পর্কে আফতাবের পরিবারের সায় ছিল না। বাবা-মায়ের আপত্তির জন্যই মুম্বাইয়ের বাড়ি ছেড়ে দিল্লিতে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন শ্রদ্ধা-আফতাব। শুধু দিল্লিতে কোনো একজনের চাকরি পাওয়ার অপেক্ষা করছিলেন। আফতাব সেই চাকরি পেতেই দুজন দিল্লিতে চলে আসেন।
Posted ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin