
নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
রাজশাহীর বাগমারায় প্রশ্নফাঁসকারী চক্রের মূল হোতাসহ ৮ জনকে আটক করেছে র্যাব-৫ এর রাজশাহী মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি দল।
শুক্রবার বিকেলে আটকের বিষয়টি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে র্যাব-৫। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে তাদের বাগমারার ভবানীগঞ্জ এলাকা থেকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, নওগাঁর পত্নীতলা এলাকার চশভবানীপুরের মৃত নূত আ. রশিদের ছেলে মো. মোরশেদুল আলম (৪৮)। তিনিই মূলত প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূল হোতা। বর্তমানে তিনি রাজশাহীর বাগমারা থানার চানপাড়া এলাকায় বসবাসরত।
বাকি সাতজন হলেন, বাগমারার খাঁপুর গ্রামের মো. জবেদ আলীর ছেলে মো. মমিন মন্ডল (২১), বাগমারার চাঁইপাড়ার মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে মো. জাকিরুল ইসলাম (৩৭), বাগমারার রামগুইয়া গ্রামের মো. আব্বাস আলীর ছেলে মো. শামসুল ইসলাম (৪৫), নাটোর জেলার নলডাঙ্গা থানার জোয়ানপুর মাধবনগর গ্রামের মো. আবু হাসান মন্ডলের ছেলে মো. তৌহিদুল ইসলাম জনি (৩৩), বাগামারার দানগাছি এলাকার মৃত শুকুর মাহমুদের ছেলে মো. দুলাল হোসেন (৪৮), বাগমারার গুনিয়াডাঙ্গা গ্রামের মো. আকরাম প্রামাণিকের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম (২৫), বাগমারার খালিশপাড়ার মো. আ. সাত্তারের ছেলে মো. তোফায়েল হোসেন (৩৩)।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৬ নভেম্বর থেকে সারাদেশে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। র্যাবের গোয়েন্দা দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রাজশাহীর বাগমারা থানার ভবানীগঞ্জ এলাকায় একটি অসাধু চক্র পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রশ্নপত্র পরীক্ষার হল থেকে নিয়ে এসে তার উত্তর তৈরি করে এবং স্বল্প মূলে বিক্রি করে। যা পরবর্তীতে পরীক্ষার হলে গোপনে বিভিন্ন মাধ্যমে সাপ্লাই দেওয়া হয়।
এসব তথ্য পাওয়ার পর র্যাব-৫ এর সিপিএসসি টিম তদন্ত শুরু করে এবং ঘটনার সত্যতা পায়। এর প্রেক্ষিতে র্যাব-৫ এর সিপিএসসি টিম ভবানীগঞ্জ এলাকায় অপারেশন পরিচালনা করে এবং চক্রের মূলহোতাসহ ৮ জনকে হাতেনাতে আটক করে। এ সময় তাদের থেকে এইচএসসি পরীক্ষার এক সেট আসল প্রশ্নপত্র, ৫টি গাইড বই, ২০০ সেট ফাঁসকৃত প্রশ্নের উত্তর, ২টি ফটোকপি মেশিন, ৭টি মোবাইল ও ৯টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, তারা পরস্পরের যোগসাজসে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি (বিএমটি/বিএম) হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্বে অজ্ঞাত ব্যক্তির সাহায্যে পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে মোবাইলে প্রশ্নপত্রের ছবি ধারণ করেন। পরে ওই বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কপি দেখে দ্রুত উত্তরপত্র প্রস্তুত করে উত্তরপত্রের ফটোকপি পরীক্ষার্থীদের নিকট অর্থের বিনিময়ে সরবরাহ করে। তারা এর আগেও অর্থের বিনিময়ে একাধিকবার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করেছেন বলে স্বীকার করেন। আাসমিদের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
Posted ৪:১৩ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin