নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
ঠাণ্ডা লাগলে কিংবা ধুলাবালির সংস্পর্শে এলেও হাঁচি, কাশি হতে পারে। এটি শরীরের সাধারণ ক্রিয়া। এই স্বাভাবিক ক্রিয়ার সঙ্গে কিছু স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াও জড়িত। যেমন হাঁচি দিলে জোরে শব্দ হয় এবং শরীরের ঝাঁকুনি দেয়। এমনটা কেন হয় জানেন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষ হাঁচি দেয় নাকের ভেতর শুরশুরি লাগলে বা নাকের রোম ও পেশিতে উদ্দিপনার সঞ্চার হলে। ফুসফুস ও পাকস্থলির মাঝে একটা শক্ত পর্দা থাকে। এটিকে বলে ডায়াফ্রাম। হাঁচি দেওয়ার আগে এই ডায়াফ্রাম হঠাৎ প্রসারিত হয়। পরক্ষণেই প্রবল চাপে সংকুচিত হয়ে ফুসফুসের ভেতরের বাতাসকে ঝাঁকুনি দিয়ে বের করে দেয়। এই সংকোচনের সময় ঝাঁকুনি লাগে। যার ফলে পুরো শরীরের প্রত্যেক পেশিতে ঝাঁকুনি প্রবাহিত হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ফুসফুসের এই বাতাস পাঁচ মিটার পর্যন্ত দূরে নিক্ষিপ্ত হতে পারে। যার ফলে ঝাঁকুনিও হয় প্রবল।
হাঁচি দেওয়াকে ইতিবাচক হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ হাঁচি দেওয়ার মাধ্যমে ফুসফুস পরিস্কার হয়। সেই সঙ্গে বাইরের ধুলাবালি সহজে ঢুকতে পারে না। তাই বিশেষজ্ঞরা জানান, হাঁচি হচ্ছে মানুষের একটা প্রতিরক্ষামূলক ক্রিয়া।
গবেষকরা জানান, শরীরের জন্য এক ধরনের `রি-বুটিং` সিস্টেম আছে। হাঁচি দিলে যে প্রেসার তৈরি হয় তার কারণে বায়োলজিক্যাল `রি-বুট` হয়। হাঁচির কারণে নাকের রাস্তার এনভায়রনমেন্ট রিসেট হয়। এতে নিশ্বাস নেয়ার ফলে যেসব খারাপ বস্তু নাকের মধ্যদিয়ে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারতো তা নাকের মধ্যেই আটকে যায়। খারাপ বস্তু আটকানোর এই এনভায়রনমেন্টটা সচল রাখার কারণেই বারবার হাঁচির মাধ্যমে শরীর তার নাকের প্রতিরোধ ব্যবস্থা রি-সেট করে নেয়।
তবে গবেষকরা আরো জানান, আমাদের হৃৎপিন্ড অবিরাম চলতেই থাকে। হাঁচি দেওয়ার সময় এটি ০.১ সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। হৃৎপিন্ডের এই বিরতি অনেকক্ষেত্রে মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।
Posted ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin