বৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের আদলে ফরিদপুরে এক মাঠে ৮ স্টেডিয়াম!

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট

কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের আদলে ফরিদপুরে এক মাঠে ৮ স্টেডিয়াম!

বিশ্বকাপ ফুটবলের উত্তাপ-উত্তেজনা বাড়াতে ফরিদপুরের একটি মাঠে তৈরি করা হচ্ছে কাতারের আদলে ৮টি স্টেডিয়াম। কাতারপ্রবাসী এক যুবক এ উদ্যোগ নিয়েছেন।

জানা যায়, ফরিদপুর পৌর সদরের ভাজনডাঙ্গা হাসপাতাল সংলগ্ন একটি মাঠে তৈরি করা হচ্ছে এ স্টেডিয়ামগুলো। আর এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দা ও কাতারপ্রবাসী মো. মাসুদুর রহমান। তিনি আর্জেন্টিনা ও মেসির ভক্ত। কাতারে অনুষ্ঠিতব্য ফুটবল বিশ্বকাপের মাঠের আদলেই তৈরি করা হচ্ছে স্টেডিয়ামগুলো।

স্থানীয়রা জানান, কাতারে থাকাবস্থায় স্টেডিয়ামগুলোতে গিয়ে খেলা দেখে আর মেসির প্রতি ভালোবাসা থেকেই মাসুদুর রহমান এমন ভিন্নধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। নিজস্ব অর্থায়নে প্রাথমিকভাবে এর ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। স্থানীয় তরুণ-যুবকদের সহায়তায় চলছে এমন ব্যতিক্রমী আয়োজনের প্রস্তুতি।

আয়োজনের মধ্যে থাকছে, বাংলাদেশের পতাকাসহ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা ৩২টি দলের পতাকা। বড় পর্দায় প্রতিটি খেলা দেখানোর ব্যবস্থা। এ ছাড়াও থাকছে দূর-দূরান্ত থেকে খেলা দেখতে আগতদের জন্য ফ্রি থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা।

এ ব্যাপারে মাঠ দেখতে আসা সেখ সাইফুল ইসলাম অহিদ বলেন, ‘সত্যিই খুব বিস্ময় লাগছে। কাতার স্টেডিয়ামের আদলে তৈরি স্থাপনা দেখে আমি হতবাগ হয়েছি। আমি নিজে এ মাঠে এসে খেলা দেখব।’

এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা এস এম রুবেল বলেন, যদিও এখনো কাজ চলমান। এলাকায় এরই মধ্যে বেশ সাড়া পড়েছে। এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন মনে হচ্ছে দেশের মধ্যে সেরা। মাঠটি কাতারে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপ যেসব স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে, সেই আদলে ৮টি স্টেডিয়াম তৈরি করা হচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে এ স্টেডিয়াম দেখতে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ।

এ ব্যাপারে মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে কাতারে থাকি। আর এই সুবাধে বিভিন্ন সময়ে কাতারের ফুটবল স্টেডিয়ামগুলো স্বচক্ষে দেখার সুযোগ হয়েছে। আমি আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। আমার প্রিয় খেলোয়াড় মেসি। আর্জেন্টিনা ও মেসির প্রতি ভালোবাসা থেকে এবং ভিন্নধর্মী কিছু করার চিন্তা থেকেই আমার এমন আয়োজন। এখানে ৮টি মাঠ কাতারের স্টেডিয়ামের আদলে তৈরি করা হচ্ছে। এ ছাড়াও আগতদের ফ্রি থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাসহ আরও বিভিন্নরকম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কাজ চলমান। কাজ শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]