মঙ্গলবার ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পশ্চিমবঙ্গে সাবেক নৌসেনাকে মেরে দেহ পাঁচ টুকরো, স্ত্রী-পুত্র গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট

পশ্চিমবঙ্গে সাবেক নৌসেনাকে মেরে দেহ পাঁচ টুকরো, স্ত্রী-পুত্র গ্রেপ্তার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে সাবেক নৌসেনা কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের। স্ত্রী ও ছেলে মিলে নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে খুন করার প্রমাণ মিলেছে।

হত্যার পর তার দেহ টুকরো টুকরো করে প্লাস্টিকে মুড়ে বাড়ির অদূরে একটি জলাশয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার দু’জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

আটক শ্যামলী চক্রবর্তী (৪৭) ও জয় চক্রবর্তী (২৫)। আজ রবিবার তাদের বারুইপুর আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। ঘটনাচক্রে, নিহতের স্ত্রী থানায় গিয়ে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন।

হত্যার পর দেহ টুকরো টুকরো করে কাটার তথ্য সামনে আসায় এই ঘটনায় অনেকেই সম্প্রতি দিল্লিতে ঘটে যাওয়া শ্রদ্ধা ওয়াকার-কাণ্ডের ছায়া দেখছেন।

পুলিশ বলছে, বৃহস্পতিবার বারুইপুরের ডিহি মদন মাল্লো এলাকার উজ্জ্বলের হাত-পা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, উজ্জ্বল প্রায়দিনই মদ্যপান করতেন। তা নিয়ে পরিবারে অশান্তিও হতো। নিহতের ছেলে জয় একটি পলিটেকনিক কলেজে পড়েন।

 

প্রতিবেশিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বিভিন্ন কারণে প্রায় সময়ই পরিবারে অশান্তি লেগে থাকত। গত ১৪ নভেম্বর উজ্বলের সঙ্গে তার স্ত্রী ও ছেলের ব্যাপক কথা কাটাকাটি হয়। সেই সময় রাগের মাথায় বাবাকে প্রচণ্ড মারধর করেন জয়।

অভিযোগ উঠেছে, যার জেরেই উজ্বলের মৃত্যু হয়। এর পর তার স্ত্রী ও ছেলে মিলে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে বাড়ির পাশের জলাশয়ে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। সেই মতো করাত দিয়ে সেই রাতেই উজ্জ্বলের দেহের পাঁচ টুকরো করে দু’টি প্লাস্টিকে ভোরে ডিহি মদন মাল্লো এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়।

তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, আটক স্ত্রী-সন্তান জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উজ্জ্বলের দেহের বাকি অংশের খোঁজ মিলেছে। তবে ঠিক কী নিয়ে ঝামেলা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বারুইপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মাকসুদ হাসান বলেন, খুনের মামলা নিয়ে ঘটনার তদন্ত চলছিল। বক্তব্যে অসঙ্গতি দেখে নিহতের ছেলে ও স্ত্রীকে আটক করা হয়। পরে তারা দোষ স্বীকার করে নেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:৩৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(217 বার পঠিত)
(194 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]