
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট থেকে টেকনাফের পথে পতাকা হাতে নিয়ে ‘আলোকিত বাংলা স্বপ্নযাত্রা আমরা করব জয়’ স্লোগানে পদযাত্রা শুরু করেছেন বাবা-ছেলে। রোববার সকালে প্রথম দিনের মতো হেঁটে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ট থেকে ৫৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন তারা। সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো পঞ্চগড় থেকে দেবীগঞ্জ হয়ে নীলফামারী জেলায় গেছেন।
বাবা-ছেলে হলেন- গাইবান্ধা শহরের বাসিন্দা ৬৭ বছের বয়সী সাদেক আলী সরদার ও তার ছেলে ৩৭ বছর বয়সী মোস্তাফিজুর রহমান।
জানা যায়, রোববার সকালে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ট পয়েন্ট থেকে রাওয়ানা হয়ে ৫৬ কিলোমিটার শেষ করে করেন তারা। সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো হেঁটে তারা পঞ্চগড় শেষ করে দেবীগঞ্জ হয়ে নীলফামারীতে পদাপর্ণ করেন। তারা ২০ দিনে তেঁতুলিয়া থেকে হেঁটে ১৭টি জেলা অতিক্রম করে ১ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিবেন টেকনাফে। এ হাঁটা সফল হলে তাদের অঙ্কে যোগ হবে ২ হাজার ৬৩৯ কিলোমিটার।
হেঁটে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ভ্রমণে বাবা-ছেলে
হেঁটে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ভ্রমণে বাবা-ছেলে
বাবা-ছেলের এমন হেঁটে পদযাত্রা, সচেতনতাসহ বিভিন্ন আলোচনা শুনে অনুপ্রাণিত হচ্ছে স্থানীয় তরুণ সমাজসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তাদের পদযাত্রা শরিক হওয়ার জন্য তাদের সঙ্গে হেঁটে পথ চলছেন।
২০০৬ সালে সাদেক আলী সরদার সেনাবাহিনীতে থেকে অবসর নেন। সেনাবাহিনীর থাকার সুবাদে শরীরচর্চা থাকায় স্বপ্ন দেখেন হেঁটে বেড়াবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত৷ ভাবনা থেকে শুরু করেন হেঁটে চলার অভ্যাস অনুশীলন। বাবার এমন উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে বাবার সফর সঙ্গী হয়ে উঠেন ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানও।
জানা যায়, ৫০তম মিশন হিসেবে তারা তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পায়ে হেঁটে ভ্রমণ করছেন। এই মিশনে হাঁটবেন ১ হাজার কিলোমিটার। তারা মূলত পায়ে হেঁটে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাট বাজারে গিয়ে বাবা ছেলের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও মধুর হওয়া বিষয়ে সচেতন করছেন। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে পায়ে হাঁটার উপকারিতা ও বৃক্ষরোপণসহ বিভিন্ন সামাজিক অবক্ষয় রোধে সচেতনতামূলক প্রতারণা করছেন।
তাদের দাবি, বাবা-ছেলের সম্পর্ক যদি মধুর ও বন্ধুত্বপূর্ণ থাকে তাহলে শুধু দেশ নয় বিশ্বজয় করা সম্ভব। এতে বিশেষ করে ছেলেরা সামাজিক অপরাধ ও বাবা-মায়ের সেবা করা থেকে বঞ্চিত হবে না। কোন বাবাকে তার ছেলে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবে না। এর আগে ৪৯তম মিশনে পদযাত্রা করেছেন তারা। এতে হেঁটেছেন বাবা-ছেলে ১ হাজার ৬২৪ কিলোমিটার।
এর আগে ২০২১ সালের ১৪ ডিসেম্বর নিজ জেলা গাইবান্ধার সাদেক চত্বর থেকে স্থানীয় ফুলছড়ি থানা চত্বর পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার হাঁটা দিয়ে শুরু হয়। পরে পর্যায়ক্রমে নিজ জেলা থেকে বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, ঘোড়াঘাট-হিলি, পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধাসহ বেশ কিছু এলাকায় হেটে সেখানকার দর্শনীয় স্থান, ইতিহাস-ঐতিহ্য দর্শন করেন।
Posted ৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin