নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা নগরীর ঐতিহ্যবাহী টাউন হল মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। কর্মসূচি ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন দলের নেতাকর্মীরা। বিভক্তি ভুলে তাঁরা সমাবেশ সফল করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
গণসমাবেশে অংশ নেবে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা, কুমিল্লা উত্তর জেলা, কুমিল্লা মহানগর, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি। এরই মধ্যে পাঁচটি ইউনিটের নেতাকর্মীরা দিনরাত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে সমাবেশস্থল এবং প্রায় পুরো নগরী ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান আর ভবনের দেয়ালে লাগানো হচ্ছে পোস্টার-ব্যানার। এসব পোস্টারে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হচ্ছে। এ ছাড়া দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের স্বাগত জানিয়েও ব্যানার-ফেস্টুন টানানো হয়েছে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কামরুল হাসানের পক্ষে বিএনপিকে সমাবেশের জন্য টাউন হল মাঠ ব্যবহারের লিখিত অনুমতি দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জুডিশিয়াল মুন্সিখানা শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার রাজীব চৌধুরী। এ জন্য ১০টি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপি দুটি ধারায় বিভক্ত। বর্তমানে এই দুই ইউনিটে বিএনপির মূলধারার নিয়ন্ত্রক হিসেবে মাঠে আছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক আমিন উর রশিদ ইয়াছিন। আরেক পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) সাবেক দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। গত ১৫ জুনের সিটি নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে অংশগ্রহণ করে বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হন সাক্কু। তিনি সর্বশেষ কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন। দুই বিএনপি নেতার বিরোধ দীর্ঘদিনের। ২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মেলনে সাক্কু দলের শীর্ষ পদ পাননি। তাঁর অনুসারীরাও বড় কোনো পদ পাননি।
এর পর থেকে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। গত ১৫ জুনের সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) ও কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সারও। তিনি বিএনপি নেতা ইয়াছিনের শ্যালক। সাক্কুর অনুসারীরা মনে করেন, কায়সার আর ইয়াছিন গ্রুপের জন্যই নির্বাচনে হেরেছেন তিনি।
Posted ৩:৩৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin