বুধবার ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাঙ্কিপক্সের নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট

মাঙ্কিপক্সের নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনা

মাঙ্কিপক্স ভাইরাস বা বাঁদরবসন্ত ভাইরাস (MPV বা MPXV) হলো একটি ডাবল-স্ট্র্যান্ডেড ডিএনএ জুনোটিক ভাইরাস যা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে মাঙ্কিপক্স সৃষ্টি করে। এটি পক্সভাইরাডে পরিবারের অরথোপক্সভাইরাস গণের অন্তর্গত।

এটি মানুষের অরথপক্স ভাইরাসগুলোর মধ্যে একটি যার মধ্যে ভ্যারিওলা (VARV), কাউপক্স (CPX) এবং ভ্যাক্সিনিয়া (VACV) ভাইরাস রয়েছে। এটি ভ্যারিওলা ভাইরাসের সরাসরি পূর্বপুরুষ নয় বা এর সরাসরি বংশধর নয়, যা স্মলপক্স সৃষ্টি করে। চলতি বছর শুরুর কয়েক মাস পর থেকেই উত্তর আমেরিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের বহু দেশে মাঙ্কিপক্সের রোগী শনাক্ত হতে থাকে।

তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ অনেকটা কমতির দিকে এবং এই পরিস্থিতিতে সংক্রামক এই ভাইরাসের নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ২৩ নভেম্বর, এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখা মাঙ্কিপক্সের নাম পরিবর্তন করার পরিকল্পনা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমনকি সংক্রামক এই ভাইরাসের নতুন নামও মনোনীত করেছে ডব্লিউএইচও। আর তা হচ্ছে- ‘এমপিওএক্স’ বা এমপক্স।

বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন কয়েকজন ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে পলিটিকো এই তথ্য সামনে আনে বলেও জানিয়েছে রয়টার্স।

পলিটিকো আরো জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্সের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তটি বুধবারের প্রথম দিকে ঘোষণা করা হতে পারে। মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান চাপের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডব্লিউএইচও।

পলিটিকোর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মাঙ্কিপক্সের নাম পরিবর্তনের জন্য ব্যক্তিগতভাবে ডব্লিউএইচও’র নেতাদের অনুরোধ করেছিলেন বাইডেনের ঐ কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসজনিত অসুখ। স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির একটি ভাইরাস এ রোগের জন্য দায়ী। ভাইরাসটির দুইটি রূপান্তরিত ধরন রয়েছে- মধ্য আফ্রিকান ও পশ্চিম আফ্রিকান।

রোগটির বিভিন্ন লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ঘেমে যাওয়া, পিঠে ব্যথা, মাংসপেশির টান ও অবসাদ। প্রথম পর্যায়ে রোগীর জ্বর আসে, পাশাপাশি শরীরে দেখা দেয় ফোস্কা ও অধিকাংশ ঘটনায় শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি ওঠে। পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে; বিশেষ করে হাত ও পায়ের তালুতে।

যুক্তরাষ্ট্রের একজন জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তার মতে, এই ভাইরাল সংক্রমণের সাথে গুটিবসন্তের সম্পর্ক আছে। তবে সংক্রমণ সাধারণত মৃদু হয়। বিশেষ করে পশ্চিম আফ্রিকান ভাইরাসের প্রজাতিটি মৃদু ধরনের; যা যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছিল। এই প্রজাতিতে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার প্রায় ১ শতাংশ। বেশিরভাগ মানুষ দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

এছাড়া মাঙ্কিপক্স রোগের জন্য এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে ডব্লিউএইচও এর আগে জানিয়েছিল, স্মলপক্স বা গুটিবসন্তের জন্য ব্যবহৃত টিকা মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর।

রোগীদের সেবা দেওয়ার সময় যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছেন, সেই স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের চলতি বছরের মাঝামাঝিতে গুটিবসন্তের টিকা দেওয়া শুরু করেছিল যুক্তরাজ্য।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(217 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]