
নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা দলটাই নিয়ে এসেছিল ব্রাজিল। এই দলের মধ্যমনি ছিলেন নেইমার জুনিয়র। তার পায়েই স্বপ্ন দেকেহছিল সেলেসাওরা। প্রথম ম্যাচ জিতে সেই স্বপ্নের দিকে এক পা এগিয়ে গেলেও দুঃস্বপ্নও উঁকি দিচ্ছে মনের আঙ্গিনায়। দলের সেরা তারকা নেইমার যে অনিশ্চিত!
ব্রাজিল তো বটেই, পুরো বিশ্বও এই দৃশ্যটা দেখতে চায়নি। অথচ দেখতে হলো। নেইমারকে খুড়িয়ে মাঠ ছাড়তে দেখতে হলো। ঘটনা রিচার্লিসনের দ্বিতীয় গোলের পর। ৭৩ মিনিট চোখ ধাঁধানো গোলে ব্রাজিলের সমর্থকেরা যখন আনন্দের চূড়ান্তে পৌছে গেছেন,ঠিক তখনই পেলেন এই দুঃসংবাদ।
ওই গোলের প্রায় ৭ মিনিট পর চোট পেয়ে নেইমারের মাঠ ছেড়ে যাওয়া দেখে তারাও হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। বেঞ্চে বসে কাঁদছিলেন নেইমার। ব্রাজিলের সমর্থকেরা ততক্ষণে যা বোঝার বুঝে নিয়েছেন। কাতার বিশ্বকাপে নেইমারকে আর দেখা যাবে তো? এই প্রশ্নের সঙ্গে উঁকি দিচ্ছিল আরো একটা প্রশ্ন, কতটা গুরুতর নেইমারের চোট।
ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার কাল ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে বেঞ্চেই আমরা চিকিৎসা শুরু করেছি… ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা হবে। আগামীকাল (আজ) আরেকবার চোট পরিস্থিতি দেখা হবে। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, আগেভাগে কোনো মন্তব্য করা যাবে না।’
ব্রাজিল কোচ তিতে নেইমারের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন। সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারানোর পর তিতে বলেছেন, ‘নিশ্চিত থাকতে পারেন সে বিশ্বকাপে খেলবে।’ তবে ভয়ের কারণও আছে। সেই ভীতিটাই সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো।’
‘গ্লোবো’ জানিয়েছে, নেইমার যে ধরনের চোট পেয়েছেন, তা সারিয়ে তুলতে বেশ সময় লাগে। চোট কতটা মারাত্মক তা নিশ্চিত হওয়ার পর সেরে ওঠার সময়টা নির্ধারণ করা যায়। ব্রাজিলের অর্থোপেডিকস ও ট্রমাটোলজি সোসাইটির (এসবিওটি) মতে, ‘পায়ের আড়াআড়ি মুভমেন্ট যখন সাধারনক্ষমতার চেয়ে বেশি হয়’ তখন গোড়ালি মচকানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ব্রাজিল সমর্থকরা অবশ্য চিন্তিত হতেই পারেন। কেননা, ২০১৯ সালে কাতারের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচে ডান পায়ের এই গোড়ালি মচকে নিয়েই কোপা আমেরিকায় খেলতে পারেননি নেইমার। তখন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়েছিল, নেইমারের আঘাত পাওয়ার জায়গায় লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে।
আরেকটা তথ্য হলো, সার্বিয়ার বিপক্ষেও ৯বার কড়া ফাউলের শিকার হয়েছেন ব্রাজিলের এই তারকা। কাতার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত যা সবচেয়ে বেশি সংখ্যকবার ফাউলের শিকার হওয়ার রেকর্ড। এখন প্রশ্ন হলো, নেইমারের মাঠে ফিরতে কত দিন লাগতে পারে? আঘাত মাঝারি মাত্রার হলে মাঠে ফিরতে এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
উল্লেখ্য, সোমবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। ২ ডিসেম্বর ক্যামেরুনের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। এই দুই ম্যাচে নেইমারকে পাওয়া যাবে নাকি অপেক্ষা বাড়বে সেটা জানা যাবে ৪৮ ঘণ্টা পর।
Posted ৫:২০ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin