
নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
খেরসনে দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইউক্রেনের ৫০ ভাগ বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসের ফর্মুলা’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এদিকে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে ১০০ বন্দি বিনিময় হয়েছে। দুপক্ষই ৫০ জন করে বন্দি বিনিময় করেছে। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্টের।
সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, কিয়েভের বিদ্যুৎব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় হাসপাতালগুলোতে জরুরি অপারেশন করা হচ্ছে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে। বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। কিয়েভের এক চতুর্থাংশ ঘর বাড়ি অন্ধকারে আছে। রাশিয়ার দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা সবকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রই জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর কেটে গেছে ৯ মাস, কিন্তু বন্ধ হয়নি যুদ্ধ। এই ৯ মাসে পুরোপুরি বদলে গেছে ইউক্রেনীয়দের জীবন। প্রাণের ভয়ের সঙ্গে যোগ হয়েছে নানা সংকট। দেশটিতে বিদ্যুৎ এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শীতে মারাত্মক কষ্টে দিনরাত পার করছেন দেশটির নাগরিকরা।
এ অবস্থায় জ্বালানি অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের চেষ্টা চলছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশটির বিদ্যুতের ৫০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান। একে রাশিয়ার ‘সন্ত্রাসের ফর্মুলা’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জেলেনস্কি বলেন, প্রায় প্রতি ঘণ্টায়, আমি খেরসনসহ বিভিন্ন অঞ্চলে হামলার খবর পাই। রুশ সেনাবাহিনী খেরসন অঞ্চল থেকে পালাতে বাধ্য হওয়ার পরপরই এই ধরনের সন্ত্রাস শুরু করেছে। হেরে যাওয়ায় প্রতিশোধ নিচ্ছে তারা। কীভাবে যুদ্ধ করতে হয় তা জানে না। তারা এখনও একমাত্র যে কাজ করতে পারে তা হলো সন্ত্রাস। হয় জ্বালানি সন্ত্রাস, না হয় গোলা সন্ত্রাস অথবা ক্ষেপণাস্ত্র সন্ত্রাস করছে তারা।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে ১০০ বন্দি বিনিময় হয়েছে। দুপক্ষেরই ৫০ জন করে বন্দি বিনিময় হয়েছে।
এ ছাড়া গত বুধবার (২৩ নভেম্বর) ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে কিয়েভে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা।
জ্বালানি অবকাঠামো, হাসপাতাল, স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রের মতো বেসামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানানোয় রাশিয়াকে ‘সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র’ ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।
Posted ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin