নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
বরগুনার তালতলী উপজেলার পাঁচটি চরের শুঁটকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন জেলেরা। এখানকার শুঁটকি সম্পূর্ন বিষমুক্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত। খেতে সুস্বাদু ও মজাদার হওয়ায় দেশে এবং দেশের বাইরেও এই শুঁটকির চাহিদা রয়েছে প্রচুর। তালতলীতে বছরে এখানে প্রায় ৩-৪ হাজার মণ বিষমুক্ত শুঁটকি উৎপাদনে প্রতিদিন কাজ করছেন অন্তত ৪ হাজার শ্রমিক।
মৎস্য বিভাগ ও জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, এক মৌসুমে তালতলী উপজেলার আশারচর, সোনাকাটা,মরানিদ্রা, ছোট আমখোলা, বড় আমখোলা ও নিশানবাড়িয়া খেয়াাঘাটের চরে ৩-৪ হাজার মণ শুঁটকি উৎপাদন হয়ে থাকে। এই শুঁটকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তালতলীর শুঁটকি সম্পূর্ন বিষমুক্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত। তালতলীর শুঁটকি খেতে সুস্বাদু ও মজাদার হওয়ায় দেশে এবং দেশের বাইরেও এই শুঁটকির চাহিদা রয়েছে প্রচুর।
উপকূলীয় বরগুনার তালতলী উপজেলার আশারচর, সোনাকাটা, মরানিদ্রা, ছোট আমখোলা, বড় আমখোলা ও নিশানবাড়িয়া খেয়াাঘাটের চরে এখন শুঁটকি তৈরির ভরা মৌসুম। শুঁটকি পল্লীতে নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাস ধরে চলে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজ। এখানে প্রতিদিন প্রায় ৩-৪ হাজার শ্রমিক দিনরাত কাজ করছেন। তাদের সঙ্গে কমপক্ষে ৩-৪ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। এই সময়গুলোতে সরব থাকে শুঁটকি পল্লীর ক্রেতা, বিক্রেতা ও শ্রমিকরা। প্রতিটি শুঁটকি পল্লী থেকে প্রতি সপ্তাহে অন্তত দেড়শ’ মণ শুঁটকি বিক্রি হয়।
বঙ্গোপসাগর থেকে কাঁচা মাছ শুঁটকি পল্লীতে নিয়ে আসার পর নারী-পুরুষ শ্রমিকরা সেগুলো পরিষ্কার করেন। এরপর মাছগুলো পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে মাচায় এবং মাটিতে বিছানো পাটিতে বিছিয়ে শুকানো হয়। ছয়-সাত দিনের রোদে মাছগুলো শুকিয়ে শক্ত হয়। প্রস্তত থাকে ক্রেতা, পাইকার ও ব্যবসায়ীরা। এই চরের শুঁটকি ঢাকা, চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর, খুলনা ও জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হয়।
বর্তমানে প্রতি কেজি ছুরি মাছের শুঁটকি ৭০০-৮০০ টাকা, রূপচাদা ১ হাজার থেকে দেড় হাজার, মাইট্যা ৮০০ থেকে এক হাজার, লইট্যা ৬০০ থেকে ৭০০, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৯০০ এবং অন্যান্য ছোট মাছের শুঁটকি ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
Posted ৬:১২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin