
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
চীনে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জারি করা লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ঘ হয়েছে। এ সময় বিবিসির একজন সাংবাদিককে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আল-জাজিরা, রয়টার্স ও বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনগুলোতে বলা হচ্ছে, টানা এক সপ্তাহ ধরে চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনাভাইরাস দ্রুত হারে বাড়ছে। তাই চীন সরকার করোনা প্রতিরোধে ‘জিরো নীতি’ অবলম্বন করেছে। লকডাউনসহ নানা ধরনের কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে শি জিনপিং নেতৃত্বাধীন সরকার। তবে কয়েকদিন ধরে বেইজিংসহ চীনের বিভিন্ন শহরে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এর মধ্যে চীনের বাণিজ্যিক নগরী সাংহাইতে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ চলছে। সেই বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
চীনের শিনজিয়াং অঞ্চলের রাজধানী উরুমগিতে বহুতল ভবনে আগুনের ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যুর পর সর্বশেষ এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বড় বিক্ষোভের সাক্ষী হচ্ছেন শি জিনপিং।
ঐ ১০ জনের মৃত্যুর মাধ্যমে জিরো কোভিড নীতিতে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে চীনাদের মাঝে। কারণ, কঠোর লকডাউন ও গণ করোনা পরীক্ষা এবং তিন বছর ধরে চলাচলে বাধা পাওয়ায় অতিষ্ঠ চীনারা।
সাংহাইতে বিক্ষোভকারী শিয়াও বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমি সরকারের চেয়ে দেশকে ভালোবাসি বলে এখানে এসেছি। আমি মুক্তভাবে বের হতে চাই, কিন্তু পারি না। আমাদের জিরো কোভিড নীতি এক খেলা এবং এটির কোনো বিজ্ঞান বা বাস্তবিক ভিত্তি নেই।
রোববার সকালে হাজার হাজার লোক জড়ো হন। পেপারের কালে শিট ধারন করে বিক্ষোভকারীদের দমনের প্রতিবাদ জানান।
রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী দেখেন যে, পুলিশ অনেক লোককে জোরে বাসে তুলছে এবং কিছুক্ষণ পর কিছু লোককে বাসে করে নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় বিবিসির একজন সাংবাদিক ঘটনাটি জানাচ্ছিলেন। তখনই তাকে হামলা করা হয় এবং কয়েক ঘণ্টা আটকে রাকা হয়।
বিবিসি এক বিবৃতিতে জানায়, বিবিসির সাংবাদিক এড লওরেন্সের চিকিৎসা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তিনি সাংহাইয়ে বিক্ষোভ চলাকালে আটক হন এবং তাকে হাতকড়া পরানো হয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বিবিসির সাংবাদিককে কয়েক ঘণ্টা আটক রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে আটকের সময় তাকে পুলিশ মারধর ও লাথি মেরেছে।
Posted ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin