
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার নতুন ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে। আর এতে আগামী দিনে সংকট কাটার আশা বিদ্যুৎ বিভাগের। নতুন ইউনিট থেকে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় তুলনামূলক কম বলেও জানান আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এএমএম সাজ্জাদুর রহমান।
দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ হাব হিসেবে বিবেচনা করা হয় আশুগঞ্জকে। জাতীয় গ্রিডে ৯ শতাংশের কাছাকাছি বিদ্যুতের জোগান আসছে এ কেন্দ্র থেকে।
এতোদিন আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬টি ইউনিটের উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ১২০০ মেগাওয়াটের বেশি। এবার বাণিজ্যিকভাবে শুরু হলো ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও একটি ইউনিটের উৎপাদন। ফলে ৭টি ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে মিলবে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কম্বাইন্ড সাইকেল কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় পড়বে তুলনামূলক কম। নতুন ইউনিট উৎপাদনে আসায় আগামীতে কমে আসবে সংকট।
প্রকৌশলী এএমএম সাজ্জাদুর রহমান সম্প্রতি সময় সংবাদকে বলেন, ‘সক্ষমতা যদি আমি ধরি, তাহলে ৫৭ ভাগ চলবে এ মেশিনটা মানে নতুন প্লান্টটা। তার সঙ্গে যোগ হচ্ছে কম গ্যাস খরচ। যদি এটি সাধারণ সার্কেলের হতো তাহলে তার সক্ষমতা পেতাম ৩৫ শতাংশ বা সর্বমোট ৪০ শতাংশ। তবে নতুনটিতে আমরা বেশি পাচ্ছি বিদ্যুৎ এবং এটিতে গ্যাস খরচ কম হবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম তামিম বলেন, নজর রাখতে হবে জ্বালানি সংস্থানের দিকেও। পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে অধিক দক্ষতার বিদ্যুৎকেন্দ্র যেন অলস বসে না থাকে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু সীমিত গ্যাস আছে এটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। অর্থ্যাৎ দক্ষতা সবার আগে আমাদের দেখতে হবে। যেখান থেকে বেশি বিদ্যুৎ আসবে সেসব পাওয়ার প্লান্টকে আগে কাজে লাগাতে হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে আশুগঞ্জ হাবের উৎপাদন সক্ষমতা ৬ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা বিদ্যুৎ বিভাগের।
Posted ৪:৪৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin