
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
রাঙামাটির লংগদু উপজেলার এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন বছর কারাদণ্ড দেন বিচারক।
মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালর বিচারক এ.ই.এম ইসমাইল হোসেন এ রায় দেন।
রায়ে বিচারক এই এম ইসমাইল হোসেন বলেন, আসামি আব্দুর রহিম তার ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। যা রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এতে আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টম্বরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার ছাত্রীকে জোর পূর্বক বিদ্যালয়ের কক্ষে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ঐ ছাত্রীকে হুমকিও দেন শিক্ষক। ভয়ে ঐ ছাত্রী ঘটনাটি কাউকে প্রকাশ করেনি। দুইদিন পর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে, তার মাকে বিষযটি জানায়। পরে তার মা বিষয়টি স্থানীয় কার্বারী বীর মোহন চাকমা, ইউপি চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি মঙ্গল কান্তি চাকমাকে অবহিত করেন।
ঘটনার ৯ দিন পর ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর লংগদু থানায় মামলা করেন ঐ ছাত্রীর মা। পরে লংগদু থানার পুলিশ পরিদর্শক সুজন হালদার ও পুলিশ পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন তদন্ত শেষে গত ২৮ অক্টোবর আসামির রিরুদ্ধে ধর্ষণের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা থাকায় অভিযোগ দাখিল করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তা ও স্থানীয় স্বাক্ষীসহ মোট ১৩ জনের সাক্ষ্য শেষে বিচারক আজ এ রায় দেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি সাইফুল ইসলাম অভি বলেন, প্রায় দুই বছর পর এ মামলার রায় হয়েছে। শিক্ষকতার মত মহান পেশাকে কলঙ্কিত করার দায়ে যে রায় হয়েছে এতে আমার মনে হয় সমাজ থেকে এরকম অপরাধ দূর হবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে সম্মানজনক মনোভাব ঠিকে থাকবে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রাজীব চাকমা বলেন,আমি রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি। আদালত সঠিক ও ন্যায় বিচার করেছেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোখতার আহমদ বলেন, এ মামলায় আমরা সঠিক বিচার পাইনি। তাই উচ্চ আদালতে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।
Posted ৯:০৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin