
নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
সীমান্তে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সামরিক মহড়া নিয়ে চীনকে নাক না গলানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন। গত সপ্তাহে উত্তরাখণ্ডে দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়া চালানোয় আপত্তি জানিয়ে চীনের দাবি, এটি বেইজিং ও দিল্লির মধ্যকার সীমান্ত চুক্তির লঙ্ঘন। এর পরপরই চীনের দাবিকে অন্যায্য বলে কড়া বার্তা দেয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। খবর এনডিটিভির।
গত সপ্তাহে উত্তরাখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১৮তম যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেয় ভারত। এই মহড়া চালানো হয় চীন-ভারতের মধ্যকার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে। আর এতেই বাধে বিপত্তি। বেইজিংয়ের দাবি, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে যে চুক্তি হয়েছিল, এই সামরিক মহড়ার কারণে তা লঙ্ঘন করা হয়েছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে বেইজিংকেই রীতিমতো শাসাল ওয়াশিংটন। চীনের এই দাবির ভিত্তিহীন উল্লেখ করে মহড়া নিয়ে নাক না গলানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এলিজাবেথ জোনস জানান, আগামীতেও ভারতের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দিল্লিতে সমর্থন দেবে ওয়াশিংটন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে এক গোলটেবিল বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমার ভারতীয় সহকর্মীদের মাধ্যমে আমি আপনাদের জানাতে চাই যে এটি তাদের মাথাব্যথা হওয়ার মতো কোনো বিষয় নয়।’
একই সুর ভারতেরও। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যৌথ সামরিক মহড়া নিয়ে তৃতীয় কোনো দেশকে মন্তব্যের অধিকার নেই। এমনকি ১৯৯৩ ও ১৯৯৬ সালের চীন-ভারতের হওয়া চুক্তির সঙ্গে মহড়ার কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানানো হয়। এ অবস্থায় সীমান্তে শান্তি-চুক্তি লঙ্ঘনের বিষয়ে উল্টো বেইজিংকেই নজরদারিতে রাখা হবে বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
Posted ৪:৪১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin