নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে মকবুল হোসেন (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন আরও ২১ জন।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় পুলিশের কাঁদানে গ্যাস শেল নিক্ষেপ
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় ২১ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। একজনের মরদেহ ঢামেক মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। একজন পুলিশ সদস্যসহ তিনজন ভর্তি আছেন। তবে তারা শঙ্কামুক্ত। আহতদের চিকিৎসার জন্য কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত বলেও জানান পরিচালক।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মকবুলের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। একপর্যায়ে তারা রাস্তা অবরোধ করে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। পুলিশ নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তখনই সংঘর্ষ শুরু হয়।
পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস শেল ছুড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের ঢামেকে ভর্তি করা হয়। সেখানে বিকেল ৪টায় মকবুলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এদিকে স্বজনদের দাবি, মকবুল রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না, তিনি ব্যবসায়ী। মকবুলের স্ত্রী হালিমা খাতুন জানান, কেউ একজন তাকে (মকবুল) ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর আর কিছু জানেন না।
মকবুলের বড় ভাই আব্দুর রহমান জানান, তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার উদিমেরচর গ্রামে। বাবার নাম আ. সামাদ (মৃত)। বর্তমানে মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের লালমাটিয়া এ ব্লকের ১২ নম্বর লেনে নিজেদের বাড়িতে থাকতেন। সাত বছরের একমাত্র মেয়ে মিথিলা আক্তার স্থানীয় মাদ্রাসার ২য় শ্রেণিতে পড়ে।
বোন আয়শা আক্তার জানান, সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে নাস্তা না করেই বের হন মকবুল। তখন বলেন, ব্যবসার মালামাল কিনতে যাচ্ছেন। এরপর সন্ধ্যার দিকে টিভিতে তার মৃত্যুর খবর শুনতে পান। পরে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে তার মরদেহ দেখতে যান।
Posted ৩:৫৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin