নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
তিন বোন। সুস্থভাবে জন্ম নিলেও বয়স ১৫ পার হলেই প্রতিবন্ধী হয়ে যাচ্ছেন তারা। তাই বাধ্য হয়ে ৩ বোনকে ঘরেই আটকে রাখতে হচ্ছে মা-বাবাকে। ঘটনাটি ভোলার লালমোহনের চরভূতা ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের রহিমপুর গ্রামের।
জানা যায়, স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারেন না তিন বোন। হাটতেও পারেন না। হাটতে গেলেই পড়ে যান। উদ্ভট আচরণ করেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। এই তিন সন্তানকে নিয়ে বুকে কষ্ট চেপে দিন পার করছেন উপজেলার রহিমপুর গ্রামের রোশন আলী বাড়ির দরিদ্র আবু তাহের ও তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম। এই পরিবারের একমাত্র উর্পাজনক্ষম ব্যক্তি আবু তাহের। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর। ফলে তাদের ভাত জোগাতেই কষ্ট হয়, সেখানে মেয়েদের চিকিৎসা করানোর মতো কোনো সামর্থ্য নেই পরিবারটির।
বড় মেয়ে তাছলিমা। সুস্থভাবে জন্ম নিলেও বড় হলে বুঝতে পারেন তিনি বাক প্রতিবন্ধী। শুধু বাক প্রতিবন্ধীই নয়, বয়স বাড়লেও তার শিশুসুলভ আচরণ যায়নি। দ্বিতীয় মেয়ে আকলিমা। তিনিও সুস্থভাবে জন্ম নেন। যখন তার বয়স ১৫ তখন বিয়ের জন্য চলছিল কথা-বার্তা। ঠিক ঐ সময়ই দেখা দেয় আকলিমার মধ্যেও পরিবর্তন। উদ্ভট আচরণ শুরু করেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। ফলে বিয়ে বাদ দিয়ে তাকে আটকে রাখতে হয় ঘরে।
তৃতীয় মেয়ে সোনিয়াও ছোট বেলায় ভালো ছিলেন। তাকে অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজেও দেওয়া হয়। কিন্তু তারও বয়স ১৫ পার হতেই একই আচরণ শুরু করেন তিনি। ঐ ঘরে এখন তিন বোনই প্রতিবন্ধী।
Posted ৯:০৬ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin