নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
২০০৫ সালে নুরবানুর সঙ্গে তার বিয়ে হয় আছমত আলীর। ২০০৭ সালে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করে নুরবানু। চাকরির পর থেকেই সংসারে দেখা দেয় অশান্তি। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ ও মামলা হয়। একপর্যায়ে গত বছরের অক্টোবরে নুরবানুকে তালাক দেন আছমত। পরে আবারো বিয়ে করলেও তার ঘরবাড়ি দখল করে রাখেন তালাকপ্রাপ্ত বানু। একপর্যায়ে স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে বাড়িটি তালাবন্ধ রাখা হলেও মঙ্গলবার আবারো সাবেক স্বামীর বাড়িতে ওঠেন নুরবানু।
ঘটনাটি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার। বুধবার দুপুরে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর বিরুদ্ধে বাড়ি দখল ও হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক স্বামী আছমত আলী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আছমত আলী বলেন, ২০০৫ সালে নুর বানুর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ২০০৭ সালে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করে নুর বানু। চাকরির পর থেকেই স্বামীর অবাধ্য হলে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ ও মামলা হয়। স্ত্রীর পরিবারের লোকজন সময় অসময়ে তাকে লাঞ্ছিত করতেন। তেঁতুলিয়া উপজেলা সদরে জমি কিনে নিজের করা বাড়িতে বসবাস করতেন আছমত। তাদের সংসারে স্কুলপড়ুয়া এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সংসারে অশান্তি চরম আকার ধারণ গত বছরের অক্টোবরে কাজির মাধ্যমে বানুকে তালাক দেন আছমত।
তালাক কার্যকরের পরে আবার বিয়ে করলেও তার ঘরবাড়ি দখল করে রাখেন তালাকপ্রাপ্ত বানু। পরে বাড়িতে উঠতে গেলে বানুর লোকজন তাকে লাঞ্ছিত করেন ও নানাভাবে হুমকি দেন। স্থানীয় পর্যায়ে সালিশের মাধ্যমে বাড়িটি তালাবন্ধ রাখা হলেও মঙ্গলবার নুরবানু আবারো সাবেক স্বামীর বাড়িতে ওঠেন।
তবে সাবেক স্ত্রী নুরবানু বলেন, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতেন আছমত। আমি চাকরি করে যে টাকা পেতাম, সব টাকা নিয়ে নিতেন তিনি। আমার টাকায় জমি কিনে বাড়ি করেছেন। আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে ব্যর্থ হয়ে, তিনি আরেকটি বিয়ে করে পঞ্চগড়ে থাকেন। সন্তানদের কথা চিন্তা করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আমাকে তার বাড়িতে উঠিয়ে দিয়েছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ করিম সিদ্দিকী বলেন, শিক্ষক আছমত আলীকে কোনো ধরনের হুমকি দেওয়া হয়নি। তাদের বিষয়টি নিয়ে দশবারের বেশি সালিশ হয়েছে। সবশেষ বাড়িসহ জমিটি দুই সন্তানের নামে দানপত্র করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে আছমত তা মানেননি। পরে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের নিয়ে আমরা সন্তানসহ নুরবানুকে সেই বাড়িতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
Posted ৬:২১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin