
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
পুরান ঢাকার বংশালে শুক্রবার দুপুরে এক জর্দা ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম জাবেদ হোসেন জনি (৩৮)। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দূরসম্পর্কের ভগ্নিপতি হাজী ইব্রাহিমকে আটক করেছে পুলিশ।
বংশাল থানার এসআই মাইনুল হক খান বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টায় বংশাল থানার মাহুতটুলি চান মসজিদের পাশে ৫১/২ নং মামুন কাজির বাড়ির সামনের গলি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার মাথার বাম পাশে ভারী লোহার বস্তু দ্বারা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও তদন্ত সাপেক্ষে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। জাবেদের ছোট ভাই আজিজুল হক পলাশ বলেন, হাজী ইব্রাহিম নামে তাদের এক নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে ব্যবসায়ীক বিরোধ ছিল জনির। এর জের ধরেই তাকে খুন করা হতে পারে। জনি ৫১/১ মাহুতটুলিতে নিজ বাড়িতে পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন। তার বাবার নাম মোজাম্মেল হক। তিনি ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী। জনির একটি জর্দার কারখানা ছিল। তার সাত বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
পুলিশ বলছে, পায়ের রগ কেটে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে জাবেদকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর মরদেহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক বিরোধের জেরে তাঁকে কোনো স্বজন হত্যা করেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বংশাল থানার উপপরিদর্শক মাইনুল হক খান বলেন, ব্যবসায়ীর জাবেদ হোসেনের বাসা মাহুতটুলির চাঁন মসজিদ গলির কাছেই। সকালে তিনি বাসা থেকে বের হন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি খবর পান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চাঁন মসজিদ গলিতে একজনের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
Posted ৪:২২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin