
নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিশ্বকাপ ছোঁয়ার স্বপ্ন চুরমার করে দিয়ে ইতিহাস গড়লো মুসলিম দেশ মরক্কো। আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে ফিফা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করেছে মরক্কো।
একটা বিষয় খেয়াল করলেই দেখবেন, মরক্কোর প্রতিটি খেলোয়াড়েরই সাফল্যের রহস্য তাদের পরিবার। কারো মা, কারো বাবা।
পর্তুগালকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস রচনার পরই যে ছবিগুলো সবচেয়ে বেশি ভাইরাল হয়, সেগুলো সোফিয়ান বুফল ও তার মায়ের। জয়েল পরই মাকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন ছেলে বুফল। আল থুমামা স্টেডিয়ামে আবেগঘন মুহূর্তের মধ্যে আলো ছড়ান তারা। পরে দলের সবাই একে একে এসে ছবি তোলেন বুফলের মায়ের সঙ্গে।
এর আগে, বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয়ের পর গ্যালারিতে থাকা মায়ের সাথে উদযাপন করেছিলেন আশরাফ হাকিমি। সেই সময় তোলা ছবিতে দেখা গেছে হাকিমির গালে চুম্বন এঁকে দিচ্ছেন তার মা। তাদের ওই ছবিও ভাইরাল হয়েছিলো, প্রশংসা কুড়িয়েছিলো সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীর।
মরক্কোর বিশ্বকাপ মিশনে খেলোয়াড়দের সাথে আছেন তাদের পরিবারের সদস্যরাও। এমনকি, স্বয়ং কোচ রেগরাগির মা রয়েছেন দলের সবার সঙ্গে।
বাবার সাথে গোল উদযাপন করছেন এক মরোক্কান ফুটবলার। ছবি: সংগৃহীত
বাবার সাথে গোল উদযাপন করছেন এক মরোক্কান ফুটবলার। ছবি: সংগৃহীত
এক সাক্ষাৎকারে কোচ রেগরাগির মা ফাতিমা বলেন, খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে ওর এতোদিনের ক্যারিয়ার। কিন্তু আমি কখনও ওর খেলা দেখতে মাঠে যাইনি। এটা আমার জন্য খুব দারুণ একটা ঘটনা। আমি গত ৫০ বছর ধরে ফ্রান্সে বসবাস করছি। এই প্রথম আমি ওর খেলা দেখতে প্যারিস ছেড়েছি।
দলের মিডফিল্ডার আবদেলসাবরির বাবা-মাকেও প্রায়ই দেখা যায় দোহার বিভিন্ন রাস্তায় সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দিতে বা হাস্যোজ্জ্বল মুখে দলের ভক্তদের সাথে সেলফি তুলতে।
মরক্কোর ফুটবল খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তোলা এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেমন আলোড়ন তুলেছে; তেমনি বার্তা দিচ্ছে এক ইতিবাচক ফুটবল সংস্কৃতির।
পরিবারের কাছাকাছি থাকার ম্যাজিক্যাল ইফেক্টই হয়তো মরক্কোর এমন সাফল্যের রহস্য!
Posted ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin