
নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
ঝালকাঠিতে পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে অবরুদ্ধ মা ও ছোট ভাইকে উদ্ধার করেছে কলেজছাত্র মাহামুদুল হাসান মুন্না।
শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউপির মুরাসাতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মাহামুদুল হাসান মুন্না। প্রাইভেট পড়তে বাসা থেকে বের হন তিনি। পড়া শেষে দাশের পোল নামক স্থানে এলে বাজারের দোকানিদের কাছ থেকে শুনতে পান তার মা রোজিনা বেগম ও ছোট ভাই আবু ফয়সাল মুবিনকে অবরুদ্ধ করে মারধর করা হচ্ছে।
এ খবরে মুন্না ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চায়। খবর পেয়ে পুলিশ আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রোজিনা বেগমকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। একইসঙ্গে আবু ফয়সাল মুবিনকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কলেজছাত্র মাহামুদুল হাসান মুন্না জানান, তার বাবা প্রবাসী মো. ফারুক হোসেন দুই বছর আগে নিজেদের জমিতে বিল্ডিং নির্মাণ করেন। প্রায় দেড় বছর ধরে পরিবারের সবাই ওই বিল্ডিং এ বসবাস করছেন। এতদিন পর হঠাৎ করে তার বাবার চাচাতো ভাই সোবাহান হাওলাদার গংরা দাবি করে ওই বিল্ডিংয়ের মধ্যে তাদের জমি রয়েছে।
এমন দাবি তুলে অতর্কিতভাবে সোবাহান হাওলাদার, আমির হোসেন হাওলাদার, রহিম হোসেন, সোহেল হাওলাদার, সাদ্দাম হাওলাদার, শাহজাহান হাওলাদার, সোহান হাওলাদার, মিম আক্তার, রিনা বেগম, আমেনা বেগম, মাহামুদা বেগমসহ আরো ২৫-৩০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি মিলে বিল্ডিংয়ের ছাদ ও দেওয়াল ভেঙে ফেলে। এ সময় দুই লাখ ১০ হাজার টাকা ও এক ভরি ওজনের স্বর্ণ নিয়ে যান তারা। বিল্ডিং ভাঙচুর, টাকা ও স্বর্ণ নেয়ায় সব মিলিয়ে প্রায় ১৩ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
অভিযুক্ত সোহেল হাওলাদার বলেন, আমাদের জায়গায় জোর করে বিল্ডিং করেছে, তাই আমরা ভেঙে ফেলেছি। তবে আমরা কাউকে অবরুদ্ধ করে মারধর করিনি।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, এজাহার দিতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Posted ৪:১৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin