শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভোগান্তিতে শেকৃবি আবাসিক হলের ছাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট

ভোগান্তিতে শেকৃবি আবাসিক হলের ছাত্রীরা

ডাইনিং-ক্যান্টিনে খাবারের মূল্যবৃদ্ধি, মানহীন খাবার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, খাবার পানির সংকট, অনিয়মিত গ্যাস সংযোগসহ নানা ভোগান্তিতে রয়েছেন রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) আবাসিক দুইটি হলের শিক্ষার্থীরা। নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের সুনির্দিষ্ট উদ্যোগের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হল ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে তাদের শিক্ষাজীবন কাটাচ্ছেন।

সম্প্রতি শেখ হাসিনা হলের ৯০১ নম্বর রুমে বৈদ্যুতিক জিনিস ব্যবহার ও রুমে গেস্ট থাকার অভিযোগে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করার প্রেক্ষিতে আবাসিক শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা হলের একাধিক ছাত্রী নাম না প্রকাশ করার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, হলের বেশিরভাগ ওয়াশরুমগুলোতে ঝর্ণা ও হাতল নষ্ট, সাবান রাখার জায়গা নেই। রাজনৈতিক নেত্রীদের তলায় নিয়মিত পরিষ্কার করা হলেও বাকি তলাগুলো বেশিরভাগ সময় থাকে অপরিচ্ছন্ন। হল থেকে নিয়মিত গ্যাসবিল নেওয়া হলেও দীর্ঘদিন গ্যাসের চুলা খুলে রাখা হয়েছে। ক্যান্টিনের স্বাদহীন ও মানহীন খাবারের মানোন্নয়নেও উদ্যোগ নেই হল প্রশাসনের। এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ দিলেও ঠিক করতে উদ্যোগ নেন না তারা। উল্টো শিক্ষকদের থেকে সিট বাতিলের হুমকি ও কটু কথা শুনতে হয়।

তারা আরো জানান, হলে শিক্ষার্থী বান্ধব অভিভাবক হিসেবে কেউ নেই। সব হলের প্রভোস্ট পরিবর্তন হলেও এত সমস্যার পরও দীর্ঘদিন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট পরিবর্তন করা হয় না। অন্যদিকে ছাত্রী প্রতিনিধিরাও হল প্রভোস্টের ভয়ে মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন। ফলে, ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না।

ফজিলাতুন্নেছা হলের এক শিক্ষার্থী জানান, পানির সমস্যা আমাদের পিছু ছাড়ে না। ছেলেদের প্রতিটি হল ও শেখ কামাল ভবনের প্রতিটি তলায় খাবার পানির ব্যবস্থা করলেও আমাদের এখানে সে ব্যবস্থা নেই। খাবার পানি থাকে না বেশিরভাগ সময়ে, থাকলেও নিচতলা থেকে নিয়ে আসতে হয় এবং দীর্ঘ লাইন থাকে। অন্যদিকে ফুটিয়ে পানি খাওয়ার উপায়ও নেই। পানি ফুটানোর সামান্য বৈদ্যুতিক হিটারের জন্যও চেকিং হয়। পানির সমস্যার সমাধানে তেমন কোনো উদ্যোগও নিচ্ছে না হল প্রশাসন। অন্যদিকে গ্যাস বিল নেওয়া হলেও গ্যাস লাইন বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট বলেন, আমাদের হলে পানির একটা ফিল্টার চালু আছে। পানির সংকট নিরসনের জন্য বড় ফিল্টার লাগানো হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করি।

গ্যাসের বিষয়ে তিনি বলেন, গ্যাসের বিল হল থেকে নেওয়া হয় না যা নেওয়া হয় তা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৬:২১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২২

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]