
নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
জামায়াতে ইসলামী জনগণের কাছ থেকে এরইমধ্যে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। তবে কিছু আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধী এ দলটিকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রায়েরবাজার বদ্ধভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বিএনপি তার পাকিস্তান প্রীতি সব সময়েই প্রকাশ করে আসছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপি জোট করেছে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর দেশের বুদ্ধিজীবীদের তুলে নেয়া হয়েছিল, গুম করে হত্যা করা হয়েছিল। ১০ তারিখ থেকেই বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু হয়, আর বিএনপিও কী-না সেই ১০ ডিসেম্বরকেই সমাবেশের জন্য বেছে নেয়। এ থেকেই বোঝা যায় বিএনপি যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের সঙ্গে জড়িত।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে, তারা প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান যেভাবে রাজাকার ও খুনিদের পুনর্বাসন করেছিলেন ঠিক একইভাবে বিএনপি রাজাকার ও খুনিদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে। সুতরাং বিএনপিকে চূড়ান্তভাবে বর্জনের সময় এসেছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সকাল থেকেই রাজধানী ও এর আশেপাশের এলাকা থেকে মানুষ রায়েরবাজারে আসতে শুরু করেন। তারা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এর আগে, মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশের স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
Posted ৭:১৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin