শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারও মাঠে সক্রিয় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট

আবারও মাঠে সক্রিয় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর

আবারও মাঠে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অনলাইন কনফারেন্সের ধারাবাহিকতায় এবার গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাত করে কথিত খিলাফত কায়েম করতে চায় বলে সিটিটিসির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান সময় সংবাদকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সম্প্রতি তিনি বলেন, নানা অভিযানে কর্মীপর্যায়ের সদস্য গ্রেফতার হলেও বছরের পর বছর অধরা মাস্টারমাইন্ডরা। উচ্চতর প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইনে তৎপরতা চালানোর কারণে জঙ্গিদের অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক বিএম মাইনুল হোসেন বলেন, কারও কার্যক্রমে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে তার সম্পর্কে তথ্য দিতে প্রস্তুত ভিপিএন ও টর কর্তৃপক্ষ।
নভেম্বরে আদালত থেকে ছিনতাই হওয়া দুই জঙ্গির হদিস মেলেনি এখনও। এরই মধ্যে আবার মাঠের উপস্থিতি জানান দিতে তৎপর নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন-হিযবুত তাহরীর। সম্প্রতি রাজধানীর অলিগলিসহ বিভিন্ন এলাকায় পোস্টারিং করেছে তারা। পোস্টারের ভাষাই বলে দিচ্ছে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে চলমান কথিত রাজনৈতিক খেলায় ফায়দা লুটতে চায় এ জঙ্গি সংগঠন।

এর আগেও বেশ কয়েকবার অনলাইন কনফারেন্স আয়োজনসহ রাষ্ট্রবিরোধী নানা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে হিযবুত তাহরীর। নানা সময়ে বিছিন্নভাবে কয়েকজন সদস্য গ্রেফতার হলেও মূল কারিগররা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। সম্প্রতি জঙ্গিবাদের যুক্ত হিযবুত তাহরীরের ৬ জঙ্গির ছবি প্রকাশ করে তাদের তথ্য চেয়েছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, জঙ্গিরা অনলাইনে কনফারেন্স আয়োজন, পারস্পারিক যোগাযোগসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনায় ভিপিএন ও টরের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ফলে তাদের অবস্থান চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না।

বাংলাদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান সময় সংবাদকে বলেন, কোনো ভালো শিক্ষার্থী বিদেশে পড়তে গেছে, তারা সেখানে গিয়ে জঙ্গিবাদে দিক্ষা নিয়েছেন বা অন্যকোনো কাজে গিয়েছে এমন অনেকে আছেন। এখন তারা করছে বিদেশে বসে তারা সম্মেলন করেন। এ রকমই ৬ জন হলো আবু জাহিদ, মো. ইমদাদুল আমিন, হাফিজ আল রাজী, আবদুর রহমান, মো. ফয়সাল ও শিবলী আহমেদ। তারা হিযবুত তাহরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

তিনি আরও বলেন, তারা ২০২০ সালে বড় আকারে কনফারেন্স করেছেন। কনফারেন্স করার কারণে গুলশান থনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সন্ত্রাস দমন আইনে চারটি মামলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করেছে, পরে তারা আমাদের হাতে দিয়েছে। ইনটেনসিভ তদন্ত করা হয়েছে। মূল সমস্যা হলো, তারা যে কনফারেন্স করেছেন আমরা মনে করি, তারা দেশের বাইরে থেকে করেছেনি। অজ্ঞাত স্থান থেকে করেছেন। তাদের নাম জানতে পেরেছি কিন্তু অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি।

এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক বিএম মাইনুল হোসেন বলেন, যেখানে মানুষের নিরাপত্তা বা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিষয় থাকে, তখন কিন্তু যারা ভিপিএন ও টর সার্ভিস দেয় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে। আইনি বিষয়টি যদি দেখানো যায় তাদের, তাহলে তারা তখন তথ্য দিয়ে থাকে বা দিতে পারে। সেটা আপনার বোঝানোর ওপর নির্ভর করবে।

এ ছাড়া ভার্চুয়াল জগতের অপরাধীদের ধরতে সনাতন পদ্ধতিতে ছবি প্রকাশ বা পুরস্কার ঘোষণা করে তেমন কোনো ফল পাওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করেন এ তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষক।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৭:১৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]