
নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
অভিধানে ‘পুরুষ’ ও ‘নারী’র সংজ্ঞা লিঙ্গের ওপর ভিত্তি করেই নির্ধারণ হয়। এবার সেই সংজ্ঞায় একটু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিধানে ‘পুরুষ’ ও ‘নারী’র সংজ্ঞায় জন্মগত লিঙ্গ পরিচয় ছাড়াও রূপান্তরকামী মানুষ ও লিঙ্গান্তরিত মানুষের পরিচয়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নতুন সংযোজিত সংজ্ঞা অনুযায়ী, এখন অভিধানটিতে পুরুষের নতুন সংজ্ঞা হলো- যিনি নিজেকে পুরুষ হিসেবে চিহ্নিত করেন। অর্থাৎ বলা যায়, এ ক্ষেত্রে তিনি জন্মগতভাবে কোন লিঙ্গের তা বিবেচ্য নয়।
একইভাবে নারীর নতুন সংজ্ঞা হলো- যে মানুষ নিজেকে নারী হিসেবে চিহ্নিত করেন। সহজ কথায়, রূপান্তরকামী ও লিঙ্গান্তরিত নারী-পুরুষও এ ‘পরিবর্তিত’ সংজ্ঞা দুটিতে অন্তর্ভুক্ত।
উদাহরণ দিয়েও বোঝানো হয়েছে যে, লিঙ্গ পরিচয় শুধু যৌন চিহ্নের ওপর নির্ভরশীল নয়।
লিঙ্গের ওপর ভিত্তি করে পুরুষ বা নারী পরিচয় ধার্য করা যথাযথ কিনা, সে বিতর্ক পুরোনো।
অনেকের দাবি, একটি মানুষের জন্মগত লিঙ্গের সঙ্গে তার জেন্ডার আইডেন্টিটি ভিন্ন হতে পারে। এর কারণ, এ পরিচয় মূলত মানুষটি নিজেকে কোন লিঙ্গের মনে করেন তার ওপর নির্ভর করে।
ফলে কেউ পুরুষ হয়ে জন্মালেও নিজেকে নারী হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন। লিঙ্গ ও যৌনতাকে একে-অপরের পরিপূরক করে তোলার যে প্রবণতা যুগ-যুগ ধরে চলে আসছে, সেটা নিয়েই বার বার প্রশ্ন তুলেছেন লিঙ্গসাম্য আন্দোলনকারীরা। কেমব্রিজ অভিধানের এ পদক্ষেপ সেই আন্দোলনের পথ আরেকটু সহজ করে দিয়েছে।
Posted ৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin