
নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
আট বছরের সংসার শামীম মিয়া ও শিমুর। দীর্ঘ সংসারে জীবনে তাদের কোনো সন্তান নেই। সন্তানের আশায় তারা ঢাকা-রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। কিন্তু তারপরেও তাদের সংসারে সন্তান আসেনি।পরে তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আগামীকাল তাদের ভারতে যাওয়ার কথা। এজন্য শামীম শিমু ও খালাতো ভাই শাকিলকে নিয়ে আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শ্বশুরবাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। কিন্তু পথেই তাদের প্রাণ কেড়ে নিলো ঘাতক বাস।
বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ি আঞ্চলিক সড়কের সাকোয়া ব্রিজ এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসচাপায় ঐ দম্পতিসহ অটোরিকশার চারযাত্রী নিহত হন।
এদিকে পলাশবাড়ী থানা চত্বরে সকালে ছেলে ও পুত্রবধূর মরদেহ নিতে এসেছিলেন নিহত শামীম মিয়ার মা সাহানাজ বেগম।
এ সময় তিনি আহাজারি করে বলেন, ‘বাবারে সন্তানের জন্যে বউ নিয়্যা ইন্ডিয়াত যাবার ধরলু। তোমার আর যাওয়া হলো না। তোমার ঘরে লাশ নিয়া ক্যামন করি বাড়িত যামো বাবা। ঘাতক বাস হামার বউ-ছোলক কারি (কেড়ে) নিলো। এখন হামার কি হবে। ও আল্লাহ এই বোঝা নিয়ে কেমন করি বাড়ি যামো।’
জানা যায়, আট বছরের সংসার শামীম মিয়া ও শিমু সরকারের। দীর্ঘ সংসারে জীবনে তাদের কোনো সন্তান নেই। সন্তানের আশায় তারা ঢাকা-রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। কিন্তু তারপরেও তাদের সংসারে সন্তান আসেনি। পরে তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য তারা ভিসা পাসপোর্ট করেছেন। আগামীকাল তাদের ভারতে যাওয়ার কথা। এজন্য শামীম-শিমু ও খালাতো ভাই শাকিলকে নিয়ে আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শ্বশুরবাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
সেখানে রাত্রি যাপন করে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আগামীকাল ভোরে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা। কিন্তু গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ডাকঘর নামক স্থানে ঘটে সড়ক দুর্ঘটনা। এতে ওই দম্পতিসহ চারজন নিহত হন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পলাশবাড়ি থানার ওসি (তদন্ত) দিবাকর অধিকারী।
তিনি আরো বলেন, বাসচাপায় অটোচালকসহ চারজন নিহত হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Posted ৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin