
নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
৯ বছর বয়সী শিশু নাদিয়া সুলতানা ইমু হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতার জসিম। জবানবন্দিতে তিনি জানান, ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে পরিচয় প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয়ে শিশু ইমুকে হত্যা করেন। বৃহস্পতিবার এ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি।
এ তথ্য জানান নিশ্চিত করেছেন বরুড়া থানার ওসি মো. ইকবাল বাহার মজুমদার।
ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে জসিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালতে জসিম জানান, ধর্ষণের উদ্দেশ্যে তিনি শিশুটিকে নির্জন স্থানে নিয়েছিলেন। কিন্তু শিশুটি এ ঘটনা সবাইকে বলে দেওয়ার ভয় দেখায়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে শিশু ইমুকে হত্যা করে মরদেহ বাঁশঝাড়ে ফেলে রাখেন জসিম।
তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় বরুড়া উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের গজারিয়া পূর্ব কলনীপাড়া এলাকা থেকে ইমুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মনজুমা বেগমের মেয়ে।
নিহত ইমুর ফুপাত ভাই আল আমিন বলেন, ইমু স্থানীয় একটি মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তো। পরীক্ষা শেষে সে পাশের গ্রামের খালার বাড়ি পূর্ব গজারিয়াতে বেড়াতে আসে। বুধবার বিকেল থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশী জসিমকে আটক করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নেয়া হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে পাশের বাঁশঝাড় থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ভাউকসার ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মাশরুল হক বলেন, জসিমকে সন্দেহ হওয়ায় তাকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। পরে তিনি হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
Posted ৪:৪১ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin