
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
বাড়িতে নতুন পোষ্য আনার পর আদবকেতা শেখানো খুবই জরুরি। এ বিষয়ে আলাদা সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ শেখানোর ভুলে পরে নিজেকেই সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তাই পোষ্য বিশেষজ্ঞের মতে, শেখানোর সময় কীভাবে শেখানো হচ্ছে সেটাও মাথায় রাখা জরুরি।
অনেকেই প্রথম থেকেই বিভিন্ন কাজ কীভাবে করতে হয়, তা শেখাতে শুরু করে দেন। তবে পোষ্য বিশেষজ্ঞের কথায়, সংশোধনের প্রক্রিয়ায় শেখানো হলে আদুরে সঙ্গী আরও সহজে শিখতে পারে। যেমন কোনো কাজ করতে গিয়ে ভুল করলে তখন তাকে ঠিকটা শেখানো জরুরি। এতে আগের কাজটি যে ভুল, তা-ও বুঝতে পারে।
হাঁটতে যাওয়ার সময় প্রায়ই পোষ্য কুকুর অভিভাবককে নিজের ইচ্ছেমত এদিক-ওদিক নিয়ে যেতে চায়। পোষ্যকে এমনটা অভ্যাস না করানোই ভালো। এতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে তার নিজে ইচ্ছে প্রাধান্য পায়। পরে এমন অভ্যাসের কারণে অভিভাবকেরই সমস্যা হতে পারে।
হাতের নাগালে যা রয়েছে তাই চিবোতে শুরু করে দেয় পোষ্য। এটি কুকুরের একটি স্বাভাবিক অভ্যাস। দাঁত ও চোয়ালের কর্মক্ষমতা ঠিক রাখতেই আদুরে সঙ্গীটি এমন করে থাকে। এতে মাঝে মাঝে তাদের পেট খারাপের মতো সমস্যাও হয়। পাশাপাশি দামি জিনিসেরও ক্ষতি হয়।ঠিক কোন জিনিসটি ও চিবোতে পারে, তা প্রথমেই ওকে বুঝিয়ে দিতে হবে।
কিছু ছোট ছোট বারণ ও বকুনি ওকে প্রথম থেকেই শোনার অভ্যাস করিয়ে দিন। যেমন এখানে ‘চুপটি করে বসো’, ‘এটা করো না’ ইত্যাদি। এতে বারণ বা নিষেধের ব্যাপারে ও প্রথম থেকেই সতর্ক থাকবে। এটাও বুঝতে পারবে যে কোনটা কাজটা করা একেবারেই ঠিক নয়।
ছোট্ট আদুরে সদস্যটি আপনার কথা শুনলে তাকে মাঝে মাঝে কিছু উপহার দেওয়া যেতে পারে। এতে সে আরও বাধ্য হয়ে উঠবে আপনার। পোষ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনেক সময় অভিভাবকের কথা একেবারেই শুনতে চায় না আদুরে পোষ্য। তখন এই টোটকা বেশ কাজে দেয়।
Posted ৮:১৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin