
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
ফুটবল বিশ্বকাপ মানেই অর্থের ছড়াছড়ি। ফিফা এই বিশ্বকাপ আয়োজন করে যেমন বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করে, তেমনটা ব্যয়ও করতে হয় তাদের। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০১০ বিশ্বকাপ থেকে ফিফা ক্লাবগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে আসছে। কাতার বিশ্বকাপেও এই ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে ফিফা, যেখানে ক্ষতিপূরণ হিসেবে গত বিশ্বকাপের মতো এবারও সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচ্ছে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি।
২০১৮ সালের অনুষ্ঠিত রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে ফিফা আয় করেছিল ৫৪০ কোটি ডলার। এই আয়টা মূলত এসেছে রাজস্ব আয়, টিকিট বিক্রি, পৃষ্ঠপোষকতা, সম্প্রচারস্বত্ব থেকে। এবার আরও বেশি আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে ফিফার। তবে আয় বেশি হলে যে ব্যয়টাও বাড়বে তাও জানা ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির।
দেশের হয়ে খেলার জন্য খেলোয়াড়গুলো ক্লাবকে বিদায় বলার কারণেই এই ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে ফিফা। এবার ফিফার ক্ষতিপূরণ দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি ৬৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার। যার সবচেয়ে বেশি পাচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি।
‘দ্য টাইমস’–এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, কাতার বিশ্বকাপের কারণে সবচেয়ে বেশি ৫ কোটি ৪৮ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। আয়ের দিক থেকে শীর্ষ পাঁচে থাকা বাকি দলগুলো হলো যথাক্রমে বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি ও টটেনহাম।
কাতার বিশ্বকাপে ম্যানসিটি থেকে ১৬ খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করলেও ফাইনালে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন শুধু একজন (জুলিয়ান আলভারেজ)। এদিকে বার্সেলোনার ১৭ ফুটবলার বিশ্বকাপে অংশ নিলেও তাদের আয় ম্যানসিটি থেকে কম। কারণ তাদের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই স্পেনে খেলে, আর স্পেন এবার শেষ ১৬ থেকে বাদ পড়ায় তাদের আয় কম হয়েছে।
এদিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দুই খেলোয়াড় (রাফায়েল ভারানে এবং লিসান্দ্র মার্টিনেজ) কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে। চেলসির কোনো খেলোয়াড় ফাইনালে না খেললেও, তাদের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই কোয়ার্টার কিংবা সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছে। আর টটেনহ্যামের দুই খেলোয়াড় কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলছে। বিশ্বকাপ চলাকালে জাতীয় দলে খেলা ক্লাবগুলোর প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার ডলার দিয়ে থাকে।
Posted ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin