
নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর শুক্রবার বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রুশ বাহিনী। এদিনই আচমকা রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইউক্রেনে রাশিয়ার কথিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর পর থেকে প্রায় সদর দফতরে বৈঠকে বসেন পুতিন। অভিযানের পরবর্তী পদক্ষেপের করণীয় নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে।
শুক্রবার রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের একাধিক শহরের বিদ্যুৎ অবকাঠামোয় ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ সেনারা।
ইউক্রেনের দাবি, প্রায় ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে শত্রুপক্ষ। গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামোয় হামলায় দেশটির অর্ধেক এলাকায় অন্ধকার হয়।
কিয়েভের দাবি, রোববারও অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে আনা সম্ভব হয়নি। তবে পরিস্থিতি কাটাতে কাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, শুক্রবার দিনের অধিকাংশ সময় ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ দফকরে ছিলেন পুতিন।
ইউক্রেনে রুশ অভিযানকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসছে ক্রেমলিন। বৈঠকে এক ফুটেজে প্রেসিডেন্ট পুতিনের পাশে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শুইগো ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি গেরোসিমভকে দেখা গেছে।
ক্রেমলিনের নেতা পুতিনকে তার সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলতে দেখা গেছে, আমরা অবিলম্বে মধ্য-মেয়াদে যুদ্ধের কী কৌশল নেবো, সে বিষয়ে আমি আপনাদের প্রস্তাব জানতে চাই।
প্রেসিডেন্ট পুতিনকে রাষ্ট্রীয় টিভিতে সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, আমরা প্রতিটি অপারেশনাল দিক নির্দেশনাতে কমান্ডারদের কথা শুনবো। আমি আমাদের তাৎক্ষণিক ও মধ্যমেয়াদি পদক্ষেপের বিষয়ে আপনাদের প্রস্তাবগুলো শুনতে চাই।
ইউক্রেনে ও পশ্চিমা নেতারা বলছে, গত ফেব্রুয়ারির মতো নতুন বছরের শুরুতে কিয়েভকে টার্গেট করে বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে মস্কো। এজন্য ২ লাখ সেনাও প্রস্তুত রয়েছে। যদিও এ নিয়ে মুখ খুলেনি ক্রেমলিন।
Posted ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin