
নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
দক্ষিন আমেরিকার দেশগুলোর বেশিরভাগ দলেই কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড় চোখে পড়ে। তবে এই এক জায়গায় আর্জেন্টিনা ব্যক্তিক্রম। আর্জেন্টিনায় কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলার এখন আর চোখে পড়ে না। এর পেছনে অবশ্য লুকিয়ে রয়েছে বেশ বেদনাদায়ক কাহিনী।
একটা জরিপে দেখা যায়, আর্জেন্টিনায় ৪ থেকে ৬ শতাংশ ব্যক্তির দেহে আফ্রিকান জিন রয়েছে। ২০১০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আর্জেন্টিনায় কালো মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় লাখ, যা মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশেরও কম।
তবে জেনে চমকে যেতে হবে যে, একটা সময় আর্জেন্টিনার জনসংখ্যার বেশ বড় অংশ ছিল কৃষ্ণাঙ্গ। কিন্তু যুদ্ধ আর মহামারির পাশাপাশি আর্জেন্টিনার লজ্জাজনক ইতিহাস আর্জেন্টিনা থেকে নির্মূল করে কৃষ্ণাঙ্গদের। তার প্রভাব পড়ে খেলাধুলায়ও।
ইতিহাস ঘাটতে গিয়ে দেখা যায়, রাজধানী বুয়েনোস আইরেস থেকে এক হাজার কিলোমিটার উত্তরের শহর করিয়েন্তেস-এ দুইশ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিহিত ছিল কৃষ্ণাঙ্গদের ইতিহাস। বর্তমানে সেখানে কৃষ্ণাঙ্গদের চিহ্নও নাই। মুছে দেওয়া হয়েছে সব।
ইতিহাসবিদ ফেলিপে পিগনার তথ্যমতে, আর্জেন্টিনার স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কৃষ্ণাঙ্গদের জোর করে সেনাবাহিনীতে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হতো। আর সবার আগে তাদেরকেই সামনে রাখা হতো ফলে যুদ্ধে বিপুলসংখ্যক কৃষ্ণাঙ্গ মারা যায়।
একই ধারা চলতে থাকে গৃহযুদ্ধের সময়ও। এমন মহামারির কবলে পড়ে কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠী আরো কমে আসে। নারী-পুরুষের অনুপাতের ব্যবধান বেড়ে যায় অনেক। এদের অনেকে আবার প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে, বলিভিয়াতেও পাঠিয়ে দেওয়া হয় অনেক দাসকে।
Posted ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin