নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
দেড় বছর বয়সী মোহাম্মদ জুবাইর। গত বছর ঈদুল ফিতরের দিনে ওই শিশুর লাশ দাফন করা হয়। লাশ দাফনের তিন মাস পর শিশুটির বাবা মোহাম্মদ ফখরুদ্দীন ছেলে জুবাইরকে হত্যা করেছে বলে দাবি করে শিশুটির মা শামছুন নাহার আদালতে মামলা করেন। শনিবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে ওই শিশুর লাশ উত্তোলন করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের হারপাড়া গ্রামে। শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন হোসেনের উপস্থিতিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মজিদের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম শিশুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে।
শিশু জুবাইরের মা শামছুন নাহারের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার দক্ষিণ মাদার্শা গ্রামে। বাবা ফখরুদ্দীনের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলার দারোগাহাট এলাকায়। বিয়ের পর শামছুন নাহারকে রাউজান উপজেলা উরকিরচর ইউপির হারপাড়া এলাকার হাজী শফির ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন ফখরুদ্দীন।
চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ বলেন, আট মাস আগে জুবাইরের মৃত্যু হলে তাকে পার্শ্ববর্তী কবরস্থানে দাফন করা হয়। লাশ দাফনের তিন মাস পর শিশুটির বাবা মোহাম্মদ ফখরুদ্দীন ছেলে জুবাইরকে হত্যা করেছে বলে দাবি করে আদালতে মামলা করেন মা শামছুন নাহার। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, আদালতের নির্দেশে শিশু জুবাইরের লাশ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশু জুবাইরের বাবা ফকরুদ্দীন অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
শিশুটির মা শামছুন নাহার বলেন, জুবাইরকে হত্যা করেছে আমার স্বামী ফখরুদ্দীন। অথচ প্রচার করেছে জুবাইর অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। স্বাভাবিক মৃত্যু দাবি করে কবর দেওয়া হয়েছে। আমাকে মৃত্যুর বিষয় প্রকাশ না করতে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি ভয়ে এতদিন নীরব ছিলাম। আদালতে মামলা করেছি, ছেলে হত্যার বিচারের আশায়।
Posted ৬:১২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin