নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
বগুড়ার শেরপুরে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে স্বামীর বাড়িতে অনশন করছেন নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। তবে মেয়েকে পাহারা দিচ্ছেন বাবা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ছোনকা চণ্ডিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রীর বাড়ি একই এলাকায়। তার স্বামীর নাম আব্দুল মোমিন। তিনি চণ্ডিপুরের বদিউজ্জামানের ছেলে ও রহিমা নওশের আলী ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
স্বজনরা জানান, তিন বছর আগে মমিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই ছাত্রীর। শারীরিক মেলামেশাও হয়েছে একাধিকবার। এমনকি ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন একদিন। পরে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু স্ত্রীর মর্যাদা না পাওয়ায় থাকতেন বাবার বাড়িতে। বৃহস্পতিবার স্ত্রীর অধিকার পেতে মমিনের বাড়িতে বাবার পাহারায় অনশন শুরু করেন তিনি।
ভুক্তভোগী বলেন, আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে মেনে নেবে না। স্বামীও আমার খোঁজখবর রাখেন না। তাই বাধ্য হয়ে অনশন শুরু করেছি। আমাকে মেনে না নিলে এখানেই জীবন দেবো।
ওই ছাত্রীর শাশুড়ি মমতা বেগম বলেন, হাতেনাতে ধরা পড়ার পর ছেলেকে বিয়ে করানো হয়েছে। এক বছর পর ছেলের বউকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়িতে নিয়ে আসব। কিন্তু ছেলের সঙ্গে বউয়ের কি যেন হয়েছে।
শেরপুর থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Posted ৪:২৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin