নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে একটা অঘোষিত লড়াই তোরী হয়েছে। যে লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে পেলে, ম্যারাডোনা, মেসি ও রোনালদো – এই চারজন। তবে অনেক দিক বিবেচনায় বেশিরভাগই পেলেকে সেরার আসনে নির্দ্বিধায় বসিয়ে দেন।
কেন পেলে সর্বকালের সেরা?
এবার এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চেষ্টা করা যাক। ১৯৭০ বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচের পদ থেকে ছাঁটাই করা হলো হোয়াও সালদানাকে। তাও ব্যর্থতা কিংবা খেলাঘটিত কারণ নয়, স্রেফ রাজনৈতিক কারণে।
এরপর ব্রাজিলের এক ক্রীড়ালেখক সালদানাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘ব্রাজিলের সেরা গোলকিপার কে?’ সালাদানা বলেছিলেন, ‘পেলে।’ এরপর একে একে সেই ক্রীড়ালেখক জানতে চেয়েছিলেন দলের আরো অর্ধেক পজিশনের সেরার নাম। সালদানো বারবার একটাই উত্তর দিয়েছিলেন, ‘পেলে’।
সালদানোর এই উত্তরের জবাব অবশ্য পাওয়া হয়ে গেছিলো ১৯৫৮ বিশ্বকাপে। সেই বিশ্বকাপের আগে পেলে চোট পেয়েছিলেন। তাঁর সতীর্থরাই চাপাচাপি করে পেলেকে সুইডেন বিশ্বকাপে নিয়ে যান। সেই বিশ্বকাপে পেলে ৬টি গোল করেন।
ফাইনালে জোড়া গোল করেছিলেন। ম্যাচ শেষে আনন্দের আতিশায্যে হতবাক গিয়েছিলেন ১৭ বছর বয়সী পেলে। জ্ঞান ফেরার পর প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড় সিগভার্দ পার্লিং পেলেকে বলেছিলেন, ‘তোমার দ্বিতীয় গোল দেখে করতালি দিতে ইচ্ছে করছিল।’
সেই বিশ্বকাপেই ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’র পাসটি করেছিলেন তিনি। ইতালির বিপক্ষে ফাইনাল ৪-১ গোলে জিতেছিল ব্রাজিল। এই ম্যাচের পর ইতালির ডিফেন্ডার তারচিসিও বারজিনিচ বলেছিলেন, ‘ফাইনালের আগে আমি নিজেই নিজেকে বুঝিয়েছিলাম, সে (পেলে) আমাদের মতোই রক্তমাংসের মানুষ। আমি ভুল ভেবেছিলাম।’
পেলের ক্যারিয়ারে হিসেব করলে দেখা যায়, তিনি ইউরোপের কোনো ক্লাবে খেলেননি। কিন্তু তারপরও সান্তোস, ব্রাজিল ও নিউইয়র্ক কসমসের হয়ে মোট ৪০ ট্রফি জিতেছেন। যে কারণেই তাকে সর্বকালের সেরাদের কাতারে বসিয়ে দেওয়া যায়।
আবার ১৩৬৬ ম্যাচে ১২৮২ গোল। এই গোলগুলোও তাকে পৃথিবীর মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনবার বিশ্বকাপজয়ী একমাত্র ফুটবলারও তিনি। সর্বকালের সেরার জন্য এর চেয়ে বড় বিশেষত্ব আর যে নেই।
Posted ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin