নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
মুন্সিগঞ্জ শহরে বন্ধুর বাড়িতে জেসিকা (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মঙ্গলবার মুন্সিগঞ্জ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে রাত ৮টায় তার মৃত্যু হয়। জেসিকা জেলা শহরের সরকারি এভিজেএম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও সদর উপজেলার কেওয়ার এলাকার সেলিমের মেয়ে। সে মায়ের সঙ্গে শহরের কোটগাঁও এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো।
এদিকে নিহতের পরিবারের দাবি, বিজয় নামে এক প্রতিবেশী বন্ধুর বাড়িতে গেলে জেসিকাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান বিজয়।
জেসিকার ভাই জিদান বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে ঘুরতে বের হয় জেসিকা। সন্ধ্যা পর্যন্ত সে বাড়িতে ফেরেনি। পরে ৬টার দিকে হাসপাতাল থেকে বাড়ির পাশের প্রতিবেশী বিজয় ফোন দিয়ে বলেন- জেসিকার অবস্থা খারাপ, সে ছাদ থেকে লাফ দিয়েছে। আমরা হাসপাতালে যাওয়ার পর বিজয় চলে যায়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ প্রসঙ্গে নিহত জেসিকার মা বলেন, আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করে মেরে ফেলছে বিজয়। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
মুন্সিগঞ্জ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল বসাক বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেসিকা নামে এক কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন ২০ থেকে ২১ বছর বয়সী একটি ছেলে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছিল। পরে রাত ৮টার দিকে ঐ কিশোরীর মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়।
তিনি বলেন, জেসিকার মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। সে পাঁচতলা ছাদ থেকে পড়ে গেছে বলে জানান হাসপাতালে আনা ছেলেটি। তবে এমন ঘটনা হলে রোগীর মাথা রক্তক্ষরণের চিহ্ন থাকতো, যা এ রোগীর ছিল না।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ঠান্ডার খাইরুল হাসান বলেন, হাসপাতাল থেকে মরদেহ পেয়েছি, তদন্ত চলছে। ঘটনার সময় যারা ছিলেন তাদের খোঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
Posted ২:২৮ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin